‘দ্বীনের জন্য ওলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই’
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:২৯ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, দ্বীনের বিজয়ের জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই। তাদেরকে জাতির মিনার হিসেবে দাঁড়াতে হবে। আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহর নবী ও সাহাবায়ে কেরামদের পাগলপারা হয়ে কাজ করতে হবে। রাসুলের সাহাবিরা দ্বীন কায়েমের জন্য জান ও মালের ত্যাগ কুরবানিতে কোনো পরোয়া করেননি।

আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টায় নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর ওলামা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর এদেশে আলেম ওলামাদের উপর চরম জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার কারণে অতীতে অনেক নবীদের বিনা অপরাধে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ অসংখ্য আলেম ওলামাদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার অপরাধে হত্যা বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। দেশের শতকরা ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় ওলামা কমিটির সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা আলী উসমান বলেন ' ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর এ এদেশের ইতিহাসে ও আকাশে এক নতুন সূর্য উদিত হয়েছে। এ ইতিহাস আমাদেরকে জানান দিচ্ছে ৯০ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশ ও কোরআন হাদীসের বাংলাদেশে স্বৈরাচরী শাষন ব্যবস্হা দিয়ে বেইমানি করে কখনও কেউ টিকে থাকতে পারবে না; বিগত সময়ে৷ যারাই পতিত স্বৈরাচার সরকারের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তাঁদেরকে চরম নির্যাতনের মুখোমুখি হয়ে হয়েছে। সুতরাং শতকরা ৯০ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন হাদীসের আইন ছাড়া অন্যকোন আইন চলতে পারে না।’

দেশের প্রখ্যাত আলেমদের কুক্ষিগত করার ভয়াবহ ষড়যন্ত্র দীর্ঘ সময় ধরে করা হয়েছে বলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আল্লামা আলী উসমান আরো বলেন ' পেছনে ফেলে আসা অতীতে আমাদেরকে দূর্বিষহ সব মুহুর্ত ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন দীর্ঘ অন্ধকার শেষে আলো এসেছে, এই আলোর মধ্য দিয়ে আমাদের আলেম ওলামাদের সকল বিভেদের পরিহার করে কোরআন ও হাদীসের চেতনাকে ধারণ করে এবার ঐক্যের সাথে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর, সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী ও ইন্টারন্যাশনাল মুসলিম স্কলারস ফোরামের (কাতার) কার্যকরী কমিটির সদস্য, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও কেন্দ্রীয় ওলামা কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী।

আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার প্রমুখ।

হাআমা/