বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের রুপকার হাফেজ্জী হুজুর রহ.
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:৫১ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর আহবানে সারাদেশে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ, গণজোয়ার তৈরি হয়। সবাই হাফেজ্জী হুজুরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হোন। কিন্তু তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান বলেছিল, পৃথিবীর আর কোথাও ইসলামী বিপ্লব হতে দেয়া হবে না। এর কিছুদিন পরেই বিভিন্ন দল-উপদল তৈরি হওয়া শুরু হয়। বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের রুপকার হাফেজ্জী হুজুর রহ. । তাঁর নীতি-আদর্শের আলোকেই আমাদেরকে এক ও নেক হয়ে আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ই অক্টোবর) রাজধানীর হামিদ কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন যাত্রাবাড়ী থানা কর্তৃক আয়োজিত "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে সিরাতে নববী সা. এর আলোকে উম্মাহর ঐক্য : পথ ও পন্থা" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, আমাদের মধ্যে কালেমার ঐক্য আছে। উলামায়ে কেরামের বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধতার উদাহরণ আছে। কিন্তু সারা পৃথিবী আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। আল্লাহ তায়ালার সৃষ্ট এই পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই বিধান চলবে এই বিষয়ে আমাদেরকে একমত হতে হবে। জমিন আল্লাহর। অতএব এই জমীনে হুকুমও চলবে আল্লাহর এই স্লোগানই হোক আমাদের ঐক্যের ভিত্তি।

আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী বলেন, কিছুদিন আগে এক মিছিলে তিনজন লোক কালেমাখচিত পতাকা মাথায় দিয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। হাজারো মানুষের সমাবেশ ছিল কিন্তু তাদেরকে মুক্ত করার জন্য কোন চেষ্টা করা হয়নি। দলের নেতা হলে এরকম মানসিকতার হওয়া চলবে না। ঐক্য করতে হলে উদার মনের অধিকারী হতে হবে।

মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচার পতনের পর জাতির যে প্রত্যাশা ছিল তা আজো পূরণ হয়নি। বৈষম্য এখনও শুধু রয়েই যায়নি বরং বেড়েই চলছে। সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন জাতির রাহবার উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী অঙ্গন।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি মাহফুজ মুসলেহ বলেন, আমাদের অন্তরে এই বিষয়টি স্থাপন করতে হবে যে, উম্মতে মুহাম্মাদি হিসেবে আমরা মূলত এক।অতএব দ্বীনি তাকাযা অনুযায়ী যদি আমার দলের বাইরে অন্য কেউ কোন কর্মসূচি দিলে সেখানেও আমাদের অংশগ্রহণ করা উচিত। ।

যাত্রাবাড়ী থানা আমীর মুফতি মাহফুজ মুসলেহ এর সভাপতিত্বে এবং মুফতি রুহুল আমীন এর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আতীকুর রহমান নান্নু মুন্সি, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মহানগর আমীর মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নগর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মুফাসসির হুসাইন, বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও গোপালগঞ্জ জেলা আমির মুফতি শিহাবুদ্দীন কাসেমী, মুন্সিগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মাওলানা উবায়দুল্লাহ রাহমানী,  মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা আখতারুজ্জামান আশরাফী,  সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান কাসেমী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাফর আহমাদ, প্রচার সম্পাদক মুফতি জসিমুদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি রুহুল আমীন, জাতীয় ইমাম পরিষদের আমির মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, কাজলা মক্কী মাসজিদের খতিব মাওলানা ফয়জুল্লাহ, কাজলা সড়ক পাড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ফখরুল হাসান মাসউদ, দারুল উলুম কুতুবখালির মুহতামিম মুফতি সাকিবুল ইসলাম, সায়্যিদুল উলুম এর পরিচালক মুফতি মাঞ্জুরুল ইসলাম কাসেমী, জামিয়া মাহমুদিয়া যাত্রাবাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতী ইমামুদ্দিন, সদ্য কারামুক্ত আলেমে দীন মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মুফতি ওমর ফারুক প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে শহীদদের মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে সভা সমাপ্তি করা হয়।

এনএ/