রাজধানীতে বাংলাদেশ কওমী ছাত্র ফোরামের সীরাত সেমিনার
প্রকাশ:
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:১৪ রাত
নিউজ ডেস্ক |
বাংলাদেশ কওমী ছাত্র ফোরাম-এর উদ্যোগে সীরাত চর্চা: জীবনের চিরন্তন পাথেয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮টা অবধি দেশের প্রথম সারির আলেম, চিন্তক ও সীরাত গবেষকদের উপস্থিতিতে পল্টন টাওয়ারের ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনের দায়িত্বশীলরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জননন্দিত লেখক ও সীরাত গবেষক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন। এতে সভাপতিত্ব করেন ফোরাম সভাপতি মাওলানা জামিল সিদ্দিকী। সেমিনারের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় নবী জীবনের নানাদিক ওঠে আসে। এসময় বক্তারা বলেন, রাসুল সা.-এর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্যে মানবতার মুক্তি নিহিত রয়েছে। তাই তিনি যা আদেশ ও নিষেধ করেছেন তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা আমাদের দায়িত্ব। এতেই মানবজাতির কল্যাণ রয়েছে। দুনিয়াতে নবী ও রাসূল পাঠানোর উদ্দেশ্যই ছিল সমস্ত মতবাদ ও আদর্শের বিপরীতে ইসলামকে একটি অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষাব্যবস্থার ওপর জাতির অস্তিত্ব নির্ভর করে। যে জাতির শিক্ষা যত উন্নত সে জাতি তত উন্নত। অনেক কাটাছেঁড়া ও পরিবর্তনের পরও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় গলদ রয়ে গেছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সমাজের পদে পদে অসারতা প্রমাণ করেছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের আলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলেই শিক্ষা সর্বতোভাবে দেশ, জাতি ও উম্মাহর জন্য কল্যাণকর হবে। এসময় বেশি বেশি রাসুলের সা. জীবনী পড়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, আজকে নির্বুদ্ধিতা ও পশ্চাতপদতার খেসারত দিচ্ছে পাশ্চাত্যের সমাজ ব্যবস্থা। বিভ্রান্তি, হতাশা আর বিচ্যুতির কারণে মানুষকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হচ্ছে সেখানে। পাপাচার, যৌন হয়রানি, হানাহানি মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অথচ এ অবস্থা থেকে মিুক্তি দিতে পারে কেবল ইসলাম তথা রাসুল সা.-এর আদর্শ। সেমিনারে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন রাখেন- লেখক ও মুহাদ্দিস মুফতি আব্দুস সালাম, লেখক ও গবেষক সৈয়দ শামসুল হুদা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব গাজি সানাউল্লাহ রাহমানি, সাংবাদিক মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, মাওলানা ডক্টর মাসরুরুল হাসান, মাওলানা জিয়াউল আশরাফ ও মাওলানা সানাউল্লাহ খান প্রমূখ। সেমিনারের শেষে সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা তানজিল আমীর পূর্বঘোষিত ৫ সদস্যের আংশিক কমিটিকে বর্ধিত করে ২১ সদস্য পূর্ণাঙ্গ আংশিক কমিটিতে ঘোষণা করেন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক নেতা মাওলানা মাহমুদ হাসান, সাবেক নেতা মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাগর, সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আইনী, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসাইন সবুজ ও হাসান আব্দুল্লাহ সহ আরো অনেকে। এই সেমিনারটি নবী মুহাম্মদ সা.-এর জীবনের নৈতিক শিক্ষা, ঐক্য প্রতিষ্ঠা, নারী অধিকার এবং সমসাময়িক সমাজে সীরাতের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে নতুন ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে, যা আগামী দিনের জন্য পথনির্দেশক হতে পারে। এনএ/ |