‘আদর্শ নাগরিক গঠনে ভূমিকা রাখছে উলামায়ে কেরাম’
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৯ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

একমাত্র ইসলামী অনুসাশন মানার মাধ্যমেই আদর্শ জাতি গঠন করা সম্ভব। দেড় হাজার বছরের ইতিহাস তাই প্রমাণ করে। আর এই মহান ও বিরাট কাজটি আঞ্জাম দিচ্ছেন উলামায়ে কেরাম। দেশ ও জাতি গঠনে তাদের এই অবদান অনস্বীকার্য। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন মিরপুর জোন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নেতৃবৃন্দ।

১৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) শাহ আলী থানাধীন ৮নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন মিরপুর জোনের উদ্যোগে 'রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা' শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও জমিয়ত ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি  মাওলানা লোকমান মাযহারীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা নূর মোহাম্মদ কাসেমী, মাওলানা আখতারুজ্জামান ও মাওলানা ওয়ালীউল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক।

মিরপুর জোনের উলামায়ে কেরাম, ইমাম, খতিব, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন– জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, জমিয়তের সংগ্রামী মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা মতিউর রহমান গাজিপুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দীন খাঁন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শারফুদ্দিন ইয়াহইয়া কাসেমী, যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা বশিরুল হাসান খাদিমানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা মকবুল হোসাইন কাসেমী , ঢাকা দক্ষিণের সহ-সভাপতি মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, ঢাকা উত্তরের সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি আনিসুর রহমান, মুফতী তাহের সাঈদ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আলী আহমদ কাসেমী, যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সাইফুদ্দিন ইউসুফ ফাহিম, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী, সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমদ, দারুস সালাম থানার সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন ঢাকুবী, সাধারণ সম্পাদক মুফতি হামেদ জহিরী, মিরপুর থানার সভাপতি মুফতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফজলে ইলাহী, শাহ আলী থানার সভাপতি মাওলানা ওমর আলী, পল্লবী থানার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুর রহমান, কাফরুল থানার সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান মাদানী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ সাবেরী, দারুস সালাম থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফখরুদ্দীন হোসাইনী, ভাষানটেক থানার আহ্বায়ক মুফতি আবু হানিফা, শের বাংলা নগর থানার আহ্বায়ক মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক মুফতি মুজিবুর রহমান, মাওলানা সালেহ আহমদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম কাসেমী, জামেউল উলুম মিরপুর-১৪-এর সিরিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল আজিজ, শাহ আলী থানার সহ-সভাপতি মুফতি ইলিয়াস হাসান কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রবিউল ইসলাম, জামিয়া দ্বীনিয়া কল্যাণপুরের মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল্লাহ নাটোরী প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন– কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকরা  আজকে দেড় হাজার বছর পর্যন্ত মুসলিম জাতীসত্তা টিকিয়ে রেখেছে। ইসলাম ও মুসলমানদের পরিচয় টিকিয়ে রেখেছে। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের সঠিক আকীদা ও শিক্ষার প্রচার-প্রসার করে আসছে। ইসলামী শিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ টিকে থাকলে এ দেশ টিকে থাকবে। অন্যথায় দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। বিপন্ন হবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব।  উলামায়ে কেরাম এ দেশের মানুষকে ভদ্র সভ্য ও উত্তম আদর্শের মানুষ তৈরি করে আসছে। আর এর মাধ্যমে  রাষ্ট্র সংস্কারে বিশাল অবদান রাখছে।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন– রাষ্ট্র সংস্কারের অর্থ এটা নয় যে, উলামায়ে কেরাম পাঠদান ছেড়ে রাস্তায় নেমে যাবেন। সচিবালয় বা বিভিন্ন অফিস আদালত সংস্কার করতে যাবেন। বর্ডারে পাহারাদারীতে নিয়োজিত হবেন। তাহলে তো দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বরং রাষ্ট্র সংস্কার হচ্ছে যার যার অবস্থানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব আমানতদারী, ন্যায়-নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করা ও অপরকে দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন– বলিয়ারপুর মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস ও বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, জামিয়া ইসলামিয়া মসজিদুল আকবরের মুহাদ্দিস মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, জামেউল উলুম মাদরাসা মিরপুর-১৪-এর মুহাদ্দিস মুফতী রুহুল আমিন, জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের শিক্ষক মাওলানা রেজওয়ানুর রহমান, বিশিষ্ট আলোচক মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী, মসজিদুর ফেরদাউসের সম্মানিত খতিব মাওলানা সানাউল্লাহ, জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের ক্বারী বেলাল হোসাইন,  মাওলানা মিনহাজুল আরিফিন, মাওলানা মনিরুল হক প্রমূখ।

হাআমা/