আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ইন্সপেক্টর আরাফাত গ্রেফতার 
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:০৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

আশুলিয়ায় হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত পুলিশ ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানায় ভ্যানে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত পুলিশ ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের এক ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও একজন পা ধরে ভ্যানে একটি লাশ নিক্ষেপ করছেন। এর আগেই ভ্যানে লাশের স্তূপ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন তারা। সর্বশেষ লাশটি তুলে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। শেষে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা মেলে।


ভিডিওতে পুলিশের ভেস্ট আর হেলমেট পরা যাদের দেখা গেছে, তাদের একজন ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনার ভিডিও দেশ-বিদেশে নাড়া দেয়। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে ওঠে আসে যে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ছিলেন ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেন। এরপর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছুড়ে হত্যার রাজত্ব কায়েম করে পুলিশ। ভয়ংকর সেই দিন আর কী কী ঘটেছিল তার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন প্রতক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পুলিশের গুলিতে লাশের পর লাশ পড়ছিল। পরে পুলিশ ওই লাশগুলো গাড়িতে তুলে নিয়ে আগুন দেয়। লাশগুলো যেন না পুড়ে, সেজন্য পানি নিয়ে আগুন নেভাতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের দিকেও গুলি ছোড়ে। থানার সামনে শুধু রক্ত আর রক্ত

হাআমা/