‘সমৃদ্ধ-সভ্য সমাজ গঠনে প্রয়োজন বিজ্ঞান-প্রযুক্তিভিত্তিক গণমুখী ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা’
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:১৭ রাত
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী বলেন, বিগত ষোল বছর বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বৈরাচারী দুঃশাসনের কবলে ছিল। কায়েম করেছিল ত্রাসের রাজনীতি। দেশের সবকটি সেক্টর কুড়মুড় করে শেষ করে দিয়েছে। অন্যসব খাতের মত শিক্ষাব্যবস্থাকেও সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। পৌত্তিলকতা, নাস্তিক্যবাদ, শারীরিক শিক্ষার নামে যৌনতা ও ট্রান্সজেন্ডারের মত চরম ঘৃণিত কুফরি বিষয় সন্নিবেশিত করে এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা মনে করি এটা জাতিকে মেধাহীন ও অদক্ষতার অন্ধকারে নিমজ্জিত করার নীল নকশা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত নতুন এ স্বাধীনতার সুফল পেতে আদর্শবাদী দেশপ্রেমিক সুনাগরিক তৈরির জন্য বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের কোন বিকল্প নেই।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর'২৪) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ ঢাকা মহানগর আয়োজিত ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু হুরায়রার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এহতেশামুল হক সাখী বলেন, ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এই অংশ বিশেষ বাক্যটি সত্যিই আমাদের ভাবিয়ে তুলে। ৫৫বছরের সংগঠনটির ঐতিহ্য, গুনকীর্তি এবং এক ঐতিহাসিক রেখে আসা সোনালী ইতিহাস রয়েছে। যা আমাদের অনুসরণীয় ও অনুপ্রেরণার। আকাবিরদের হাতে বুনিয়াদ হওয়া ছাত্রসমাজের ইতিহাস কতোটা মসৃণ ও সমৃদ্ধ এটি সহজেই অনুমেয় হবে আশাকরি। ৩রা সেপ্টেম্বর সংগঠনটির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৬৯ সালের এই দিনে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে আজ পর্যন্ত আল্লাহর জমিনে তাঁর দীন প্রতিষ্ঠা তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ ভূখণ্ডে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিতপ্রাণ একদল যোগ্য মুজাহিদ তৈরির প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।

বিশেষ অতিথি সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ইসলামী ছাত্রসমাজের একটি মৌলিক স্লোগান আছে, "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সার্বজনীন ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে" এই থিমকে লালন করে ছাত্রসমাজের প্রতিটি কর্মী মাঠপর্যায়ে কাজ করবে বলে আশা করেন। এছাড়া তিনি আরো বলেন,  স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার ও দাওরায়ে সনদের মান আদায়সহ দেশের সকল শিক্ষাবিষয়ক আন্দোলন-সংগ্ৰামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ অনন্য অবদান রেখেছে‌।

এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, মুফতি হুমাইদ সাঈদ কাসেমী, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মুফতি দ্বীনে আলম হারুনী, মহাসচিব বিএম আমীর জিহাদী, জাবের আব্দুল্লাহ, নোয়াখালী খালী প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইউসুফ আলীসহ প্রমুখ।

হাআমা/