মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফিরছে গ্রেডিং পদ্ধতি 
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:৫৯ রাত
নিউজ ডেস্ক

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে শিক্ষা সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে সরকার। নতুন পদ্ধতিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বসতে হবে তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষায়। যার ৭০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। বাকি ৩০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে শিখনকালীন। আগের মতো গ্রেডিং পদ্ধতিতেই এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জারি করা ২০২৪ সালের শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশিকা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

একইসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাস  বা নমুনা প্রশ্ন ও প্রশ্নকাঠামো প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রমের মোট নম্বর হবে ১০০। এর মধ্যে ৭০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। বাকি ৩০ শতাংশের মূল্যায়ন বিদ্যালয়ে শিখনকালীন। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জিপিএ বা গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৩ ঘণ্টা। পরীক্ষার উত্তর লেখার জন্য আগের বিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় খাতা সরবরাহ করবে।

ফলাফলে ফিরছে গ্রেডিং পদ্ধতি
মূল্যায়নে আগের মতো ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পেলে A+ বা ৫ পয়েন্ট, ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে A বা ৪ পয়েন্ট, ৬০ থেকে ৬৯ নম্বর পেলে A- বা ৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট, ৫০ থেকে ৫৯ পেলে B বা ৩ পয়েন্ট, ৪০ থেকে ৪৯ পেলে C বা ২ পয়েন্ট, ৩৩ থেকে ৩৯ পেলে D বা ১ পয়েন্ট ও ০০ থেকে ৩২ পেলে F বা ০ পয়েন্ট পাবে শিক্ষার্থীরা।

একটি বিষয়ে সর্বনিম্ন D গ্রেড পেলে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে। ৩ বা ততোধিক বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী  যদি D গ্রেড পায় তাহলে পরবর্তী শ্রেণিতে  সে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। তবে এ বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিশেষ বিবেচনায় তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের সুযোগ দিলে দিতে পারেন। বিশেষ বিবেচনার বিষয়টি শুধুমাত্র ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।

এমএন./