ত্রাণ নিয়ে বন্যাকবলিত দুর্গম অঞ্চলে শায়খ আহমাদুল্লাহ
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:৫৫ রাত
নিউজ ডেস্ক

|| হাসান আল মাহমুদ ||

ভয়াবহ বন্যার কবলে আক্রান্ত বন্যাদুর্গত দুর্গম অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ

আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) লরি ভর্তি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে তিনি ফেনীতে পৌঁছান। দাগনভূঞা উপজেলায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

ত্রাণ বিতরণকালে ফেসবুক লাইভে এসে শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, ‘ আমরা ফেনীর মেইন রোড থেকে দেড়-দুই ঘন্টা ট্রাক্টরে চড়ে ধীরে ধীরে এখানে এসেছি। এখান থেকে আরেকটা দুর্গম জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে আমাদের। আমরা যতদূর এসেছি, সর্বত্র দুরাবস্থা দেখেছি। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এখানের সবাইকে আমরা ত্রাণ দিচ্ছি।

ত্রাণ বিতরণকালে শায়খ আহমাদুল্লাহ বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়াসহ ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়ির অবস্থা জিজ্ঞেস করে ঘর মেরামত করার টাকাও দেবেন বলে আশ্বাস দেন তাদের।

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, আজকের ত্রাণসামগ্রীর গাড়িগুলো গত রাতে এসেছে। আল্লাহ তাওফিক দিলে আগামীকালও একইভাবে ত্রাণবাহী গাড়িগুলো ঢাকা থেকে আসবে। বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় সেগুলো চলে যাবে।

টুমচর মাদরাসাকে কেন্দ্র বানিয়ে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন এলাকার লোকদের ত্রাণ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, ‘মানুষের পাশাপাশি আমরা ভেবেছি গৃহপালিত পশুর কথাও। গোখাদ্য হিসেবে দুর্গত এলাকার জন্য রওনা হচ্ছে ৬৭.৩৭ টন ভূসি। এগুলো  বন্যদুর্গত ৪টি জেলা ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্পটে বিতরণ করা হবে।’

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে আরেক পোস্টে ৫০ হাজার পরিবারের জন্য ভারী খাবারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেছেন ভারী খাবারের কিছু অংশের কাজও সম্পন্ন হয়েছে আজ।

বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। চার হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করা হয়েছে। ঘর হারানো পাঁচ হাজার পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে (২২ আগস্ট) শায়খ আহমাদুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে জানান, বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার ও সহায়তায় ৫০০ টন ত্রাণ নিয়ে পাশে দাঁড়াবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

হাআমা/