সরকারি সকল দফতরে কওমি তরুণদের মেধার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ আছে : ইফা মুহাদ্দিস
প্রকাশ:
১৫ আগস্ট, ২০২৪, ০৯:২৩ রাত
নিউজ ডেস্ক |
|| হাসান আল মাহমুদ || সরকারি সকল দফতরে কওমি তরুণদের মেধার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ আছে বলে মনে করছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান। তিনি বলেন, সরকারের সকল দফতরে কওমির মেধাবীদের কাজে লাগানোর সুযোগ আছে। আপাতত, সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ধর্ম শিক্ষকের পোস্টগুলো কওমির সন্তানদের হলেও উপকার পাবে জাতি। তবে, আমি মনে করি বাংলাদেশের সকল সেক্টরে কওমিরা অবদান রাখতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট ২০২৪) এক সাক্ষাৎকারে আওয়ার ইসলামকে এ কথা বলেন ইফার মুহাদ্দিস গবেষক এই আলেম। ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান এজন্য কওমি শিক্ষার সনদের স্বীকৃতিকে পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চান। তিনি বলেন, কওমির সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত দেখলাম না কওমির সনদ দিয়ে সরকারি কোনো পোস্টে চাকরির আবেদন করার মত যোগ্যতা এ সনদের হয়েছে। এজন্য সবার আগে গুরুত্ব দিব এ সনদের যথার্থ বাস্তব রূপের প্রতি। কওমি শিক্ষাবোর্ডের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কওমি শিক্ষা সনদের জন্য সেই বিএনপি আমল থেকেই অনেকেই মেহনত করেছেন। গত সরকারের আমলে এ সনদের স্বীকৃতি আসে, কিন্তু বাস্তবরূপ আসেনি। এজন্য আমি দায়িত্বশীলদের বলব, নতুন সরকারের কাছে ওলামায়ে কেরামের একটা প্রতিনিধি দল গেলে ভালো হবে। এখানে ধর্ম উপদেষ্টা আছেন, তিনিও খুব আন্তরিক এ ব্যাপারে। ড. ইউনূস সাহেবের অধীনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও আছে। আশা করি, ফলপ্রসু হবে। তাঁর মতে, দশম, দ্বাদশসহ কওমির সকল স্তর যদি স্বীকৃতি পায়, মাস্টার্স সমমান স্বীকৃতির বাস্তবরূপ হয়, তাহলে কওমির সন্তানরা বিসিএস পরীক্ষাও দিতে পারবে। সরকারের চল্লিশটা মন্ত্রণালয়ের অধীনে অন্তত পাঁচশত দফতর অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ইত্যাদি দফতর আছে, এগুলোর প্রত্যেক সেক্টরেই কওমির মেধাবীদের বিসিএস দিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করেন তিনি। কওমির সন্তানদের কেন সরকারি সকল দফতরে মেধার স্বাক্ষর রাখার প্রয়োজন আছে সে প্রসঙ্গে ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান বলেন, ‘এজন্য প্রয়োজন আছে, কারণ কওমিদের মাঝে দুটি গুণ আছে। এক- শিক্ষাগত যোগ্যতা। দুই- আমানতদারিতা। কাউকে কোনো দায়িত্ব দিতে হলে ইসলাম এ দুটো বিষয়ে দেখতে বলেছে। এসময় গবেষক এই ডক্টরেট আলেম কুরআনে সূরা ইউসুফে বর্ণিত আয়াত তুলে ধরে বলেন, ‘খাদ্য, কৃষি ত্রাণ, পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নবী হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম চেয়ে নিয়েছিলেন। কেন তিনি চেয়েছিলেন? বলেছেন ‘আমি আমানতদার এবং আমি অভিজ্ঞ’। তো, কওমিদের মাঝে আমানতদারিতা আছে, আর শিক্ষার যোগ্যতা থাকলেও সার্টিফিকেট না থাকায় দেশের রাষ্ট্রীয় দফতরগুলোতে আলোর মুখ ছড়াতে পারেনি জাতির মেধাগুলো। হাআমা/ |