ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ:
০৭ আগস্ট, ২০২৪, ০৫:২৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
|| নুর আলম সিদ্দিকী || গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরই মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় সারাদেশ। বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন সাধারণ ছাত্র-জনতা। এরপর থেকে থানাগুলোতে পুলিশ কম। দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। শহর ও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি, হামলা, লুটপাটের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বড় বড় মার্কেট ও দোকানপাট খোলেনি এখনও। আজ বুধবার রাজধানীর সড়কে বেড়েছে যানবাহন চলাচল। আর যান চলাচল বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শূন্য ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে দায়িত্বপালনে নেমে পড়েছেন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি চলছে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা য়ায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়ক, সায়দাবাদ কুতুবখালি, সাইনবোর্ড, দৈনিক বাংলা মোড়, জিরো পয়েন্টে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সিগন্যালগুলোতে পালাক্রমে দায়িত্বপালন করছেন। কয়েক জায়গায় তাঁদের সঙ্গে আনসার সদস্যও রয়েছেন। পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্যদেরও বিভিন্ন সিগন্যালে দায়িত্বপালন করতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে রাতভর মন্দির, গির্জার ও সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর পাহাড়া দিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছে কওমি মাদরাসা ছাত্ররা। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মন্দির পাহারা দিচ্ছেন। এ ছাড়া ওবায়দিয়া মাদরাসার পাশে বৌদ্ধ মন্দির পাহারায় রয়েছেন তারা। আর নগরীর মন্দিরগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাহারারত রয়েছেন। মাদরাসা ছাত্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, নতুন স্বাধীনতার ফাঁকে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেজন্যই এই আন্দোলন। এভাবে আমাদের ভাইদের জান ও মালের রক্ষা করাও স্বাধীনতার অংশ। এটাও আমাদের আন্দোলনকে ধারণ করার অর্থ। জাতির ক্লান্তিলগ্নে তাদের এ ভূমিকা জাতিকে স্বস্তি দিয়েছে বলে মনে করছেন সমাজের গুণীজনেরা। এনএ/ |