আসসুন্নাহ থেকে সংশোধিত ‘প্রিয়তমা’ এখন বাজারে
প্রকাশ:
১০ জুলাই, ২০২৪, ০৮:০০ রাত
নিউজ ডেস্ক |
এবার বাজারে এলো পাঠক মহলে সাড়া জাগানো সিরাতগ্রন্থ সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর রচিত প্রিয়তমার ‘পরিমার্জিত সংস্করণ’। জানা যায়, আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ’র তত্বাবধানে গ্রন্থটি ‘সংশোধিত ও পরিমার্জিত’ হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধায় সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্রন্থটির লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, প্রিয়তমার দ্বিতীয় সংস্করণে সামান্য কয়েকটি শব্দ-সংশোধনী ছাড়াও বইয়ের পৃষ্ঠাসজ্জা নতুন করে সাজানো হয়েছে। ফলে কিছু পৃষ্ঠা বেড়ে গেছে। বইয়ের প্রচ্ছদে ‘পরিমার্জিত সংস্করণ’ উৎকীর্ণ করা হয়েছে। আশা করি নতুন এই সংস্করণ পাঠকের ভালো লাগবে। বইয়ের পরিমার্জিত সংস্করণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের কথা। একটি কাজের সূত্রে শ্রদ্ধেয় শায়খ আহমাদুল্লাহ’র সঙ্গে দেখা করতে যাই রাজধানীর আফতাবনগরে তার প্রতিষ্ঠিত আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অফিসে। কথার এক ফাঁকে শায়খ বললেন, ‘আপনার লেখা ‘প্রিয়তমা’ বইটি নিয়ে অনলাইনে কিছু মানুষ দেখলাম নেতিবাচক লেখালেখি করছে। ঘটনা কী?’ আমি বললাম, ‘ঘটনা তেমন কিছু নয়। কিছু মানুষ আমার বইয়ের ভাষাব্যঞ্জনা ধরতে পারে না। ফলে তারা মনে করে, আমার মতো আধুনিক, প্রাঞ্জল ও সুষমামণ্ডিত করে বাংলাভাষায় নবীজির সিরাত লেখা অনুচিত। এ নিয়েই তাদের অভিযোগ। যদিও তারা কেউ নির্দিষ্ট করতে বলতে পারেনি যে কোন শব্দগুলো নবীজি বা তাঁর সহধর্মিনীদের শানে ব্যবহার করা অনুচিত। কেউ একজন বলেছে, বাকিরা তার পেছনে পেছনে শুধু লেজ নাড়িয়েছে। এজন্য এসব বিতর্কপ্রিয় লোকদের সমালোচনায় আমি কান দেই না।’ শায়খ বললেন, ‘তারপরও কথা যেহেতু উঠেছে, আপনার উচিত কোনো একজন আলেম-লেখককে দিয়ে বইটি রিভিউ করানো। এতে সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।’ সুযোগ বুঝে আমি বললাম, ‘তাহলে আপনার তত্ত্বাবধানে রিভিউ করা যেতে পারে। আপনি বলে দিন কাকে দিয়ে দেখাবো। আমার কোনো আপত্তি নেই।’ শায়খ একটু ভেবে বললেন, ‘আমাদের আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আবুল কাসেম আদিল ভাইকে দিয়ে দেখাতে পারেন।’ বন্ধুবর আবুল কাসেম আদিল তখন আমার পাশেই ছিলেন। তিনি আলেম তো বটেই, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার সরব বিচরণ। সাহিত্য-সমালোচনায়ও তার সুনাম রয়েছে। তিনি প্রিয়তমা বইটি সাগ্রহে রিভিউ করতে রাজি হলেন। জানিয়ে রাখা ভালো, শাইখ আহমাদুল্লাহ আমার ‘প্রিয়তমা’ বইয়ের পাঠক এবং বইটি কিনে তিনি বহুজনকে হাদিয়া দিয়েছেন—এ কথা তিনি আগেও আমাকে বলেছেন। বইটি নিয়ে নানাজনের আলোচনা-সমালোচনায়ও যে তিনি নজর রাখেন, সেটা জেনে আনন্দিত হলাম। তবে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, তিনি নিজের তত্ত্বাবধানে বইটি রিভিউ করতে রাজি হয়েছেন। লেখক আরও বলেন, শায়খ আহমাদুল্লাহ’র তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ সময় নিয়ে সাহিত্য-সমালোচক আবুল কাসিম আদিল ও গবেষণা কর্মকর্তা মুফতী নাজমুল হাসান দুজনে মিলে প্রিয়তমা বই পুরোটা রিভিউ করেছেন। রিভিউ শেষ হওয়ার পর আবুল কাসেম আদিল জানালেন, পুরো বই রিভিউ করার পর সাড়ে তিন শ’ পৃষ্ঠার বইয়ে আমরা সাকুল্যে মাত্র ১৪টি বাক্যে দাগ দিতে পেরেছি। তবে এগুলো তথ্যগত, আকিদাগত বা মারাত্মক কোনো ভুল নয়, নিতান্ত শাব্দিক বা ভাষাগত কিছু ত্রুটি। যেগুলোর ব্যবহার দোষণীয় নয়, তবে না করাটাই উত্তম। আমি সানন্দে তাদের সংশোধনী মাথা পেতে নিয়েছি। হোক সামান্য, তবু এ সংশোধনীকে সাধুবাদ জানাই। এই সম্পাদকদ্বয়ের সংশোধনীর পর প্রিয়তমার নতুন সংস্করণ সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ! সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, প্রিয়তমা বইয়ের প্রতি শব্দ-বাক্যের প্রতি আমার আত্মবিশ্বাস আছে। কেননা বইটি লিখতে গিয়ে বইয়ের প্রতিটি শব্দ নির্বাচনে আমি সতর্ক থেকেছি। দীর্ঘ পনেরো-ষোল বছর ধরে লেখালেখি করি। স্বনামধন্য বহু সিরাতগ্রন্থ ও সিরাতাশ্রয়ী গ্রন্থ পড়েছি, ইসলামি অঙ্গনের প্রায় সকল পত্রিকায় লিখে নিজেকে যাচাই করেছি, বড়দের সাহচর্যে থেকে শিখেছি কোন শব্দের পরিসীমা কতটুকু। তাই সিরাত লিখতে আমাকে কোন শব্দ ব্যবহার করতে হবে—অতটুকু দিব্যজ্ঞান অন্তত আমার আছে। সুতরাং বাংলাভাষার কোন শব্দটি সম্মানিত আর কোন শব্দটি সম্মানহানি ঘটায়, এ ব্যাপারে আমি পূর্ণ ওয়াকিবহাল। ‘প্রিয়তমা’ বইটি অনলাইনে কিনতে কল করুন: 01913 508743 এনএ/ |