পাঠ্যপুস্তকের বিষয়ে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের ৮ দাবি
প্রকাশ:
১০ জুলাই, ২০২৪, ০৩:২৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ বাতিল করাসহ ভবিষ্যত প্রজন্মের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে ৮ দাবি উত্থাপন করেছে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে “বিতর্কিত জাতীয় পাঠ্যক্রম; দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিকদের করণীয়” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন। পাঠ্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন সংগঠনটির সভাপতি মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি রেজাউল করীম আবরারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে প্রশ্নফাঁস মহামারী আকার ধারণ করেছে। একে নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা ও মূল্যায়নকে পুরো মাত্রায় সংকুচিত করা হয়েছে। তার উপর যুক্ত হয়েছে এই প্রশ্নফাঁস। শিক্ষানবীস শেষ করার পর ছাত্ররা চাকরির বাজারে যাবে, নিজের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে, নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে; কিন্তু বিভিন্ন দলীয় ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা কিছু চক্র প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে প্রকৃত মেধাকে গলা টিপে হত্যা করে যাচ্ছে। চক্রে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। চলমান কোটা বাতিলের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশের শিক্ষার্থী ও তরুণরা চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনে সরব রয়েছে। আমরা মনে করি ‘কোটা পদ্ধতি’ দেশকে মেধাশূণ্য ও অকার্যকর অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাবে। তাই আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মেলনে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। ১) বিতর্কিত জাতীয় পাঠ্যক্রম বাতিল করতে হবে। ২) বিদেশের অন্ধ অনুসরণ নয়; বরং যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে অভিজ্ঞ, দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ ওলামায়ে কিরামের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করা। ৩) পাঠ্যপুস্তক হতে বিতর্কিত ও ইসলামি আকিদা বিরোধী বিষয়সমূহ বাদ দেয়া। স্কুল ও মাদরাসার সকল পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সংস্কৃতি, অনৈসলামিক শব্দ এবং অশ্লীল চিত্র মুক্ত রাখা। ৪) মাদরাসা শিক্ষা কারিকুলাম মাদরাসা সংশ্লিষ্ট আলেম, ইসলামিক স্কলার ও শিক্ষকদের দ্বারা পরিমার্জন করা ও আলিয়া মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়ন করা। ৫) দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্ব-স্ব ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা। ৬) প্রকৃতি বিরুদ্ধ ও দেশীয় সংস্কৃতি বিরোধী ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ পাঠ্যপুস্তক থেকে বাতিল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা। ৭) সমাজে অবহেলিত হিজড়া জনগোষ্ঠীর সুশিক্ষা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা। ৮) “কৃষি শিক্ষা” ও “গার্হস্থ্য বিজ্ঞান” শিক্ষা পাঠ্যসুচিতে বাধ্যতামূলক। কর্মসূচি : ১) মাসব্যাপী জেলায়-জেলায় বিতর্কিত পাঠ্যক্রম ইস্যুতে ওলামা, শিক্ষাবিদ ও সূধি সম্মেলন। ২) আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে থানায় থানায় ওলামা ও সূধি সম্মেলন। ৩) সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবিতে ঢাকায় জাতীয় সম্মেলন। এনএ/ |