এইচএসসি পরীক্ষা শুরু, বৃষ্টির ভোগান্তি মাথায় নিয়েই কেন্দ্রে ঢুকছেন পরীক্ষার্থীরা
প্রকাশ: ৩০ জুন, ২০২৪, ১১:০৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

সিলেট বাদে সব বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ সকালে শুরু হয়েছে। সকালে রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। আর এতে বিপাকে পড়েছেন প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া লাখ লাখ শিক্ষার্থী। সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও পড়েছেন সন্তানদের নিয়ে বিড়ম্বনায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে রংপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোববার সকাল দশটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে এইচএসসি পরীক্ষা। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল থেকে যানজট হতে পারে এই আশঙ্কায় পরীক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকরা আগেভাগেই বাসা থেকে বের হয়েছেন। অন্যদিকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করারও নির্দেশনা আছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে৷ কিন্তু অনেকেই কেন্দ্রের কাছে আসার আগে পড়েছেন বৃষ্টির কবলে।

কেউ ব্যক্তিগত যানবাহনে আসলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাস, সিএনজি কিংবা রিকশায় করে কেন্দ্রে এসেছেন। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে গাড়ি থেকে নামতে ভিজে গেছেন অনেকে। সকালের দিকে কেন্দ্রের আশপাশের মার্কেট, দোকানপাট না খোলায় বৃষ্টির হাত থেকে অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ফলে পরীক্ষার হলে ঢুকতে গিয়ে কোথাও শিক্ষার্থীরা, কোথাও আবার সঙ্গে আসা লোকজন ভিজে একাকার হয়ে গেছেন।

এদিকে বৃষ্টির কারণে কেন্দ্রের আশপাশের সড়কে কোথাও কোথাও পানিও জমে গেছে। ফলে পায়ে হেঁটে চলার সুযোগও ছিল না। 

এর আগে শনিবারও ঢাকায় অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বেশ কিছুদিন বৃষ্টির কথা জানিয়েছে।

যেসব নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিখে ওই্ দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।

পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন- পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

এ ছাড়া, বিশেষভাবে সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এনএ/