‘ভারত পাশে থাকায় নির্বাচনে বড় শক্তিও অশুভ খেলা খেলতে পারেনি’
প্রকাশ:
১৬ মার্চ, ২০২৪, ০৩:২৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ভারত পাশে ছিল বলে দুনিয়ার অনেক বড় বড় শক্তি নির্বাচন নিয়ে অশুভ খেলার সাহস পায়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমরা আমাদের মতো করেছি। ভারত এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। বাংলাদেশে নিযুক্ত অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচন নিয়ে যেভাবে ছুটোছুটি করেছে- ভারতকে আমরা সে ভূমিকায় দেখিনি। মূল কথা হলো, ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচন নিয়ে শক্তিশালী দেশগুলো অশুভ খেলার সাহস পায়নি। শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১০টায়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। সম্মেলনে আগতদের উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না। দাসত্বের শেকড় ভেঙে ফেলতে হবে। তিনি বলেন, মাসে মাঝে খুবই বিব্রত হই। কিছু কিছু মানুষ রাজনৈতিক পরিচয়ে সনাতন ধর্মীবলম্বীদের সম্পদ দখল, মন্দির ভাঙচুরসহ নানা অপকর্ম করে। স্পর্শকাতর বিষয়ে তারা কষ্ট দেয়। এসব লোকদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তাদের আসল পরিচয় দুর্বৃত্ত। মূলত দুর্বৃত্তরাই হিন্দুদের জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর করে। এই দুর্বৃত্তরা অভিন্ন শত্রু। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি, থাকব। ভয়ের কোনো কারণ নেই। স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের ব্যাপারে দেশবাসীকে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক বাসুদেব ধর, সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। বিকেল ৩টায় শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সারা দেশ ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার প্রায় চার হাজার কাউন্সিলর অংশ নিয়েছেন। হাআমা/ |