মাকে ‌ম্যানেজ করে মেয়েকে ধর্ষণ, আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
প্রকাশ: ০৬ মার্চ, ২০২৪, ০১:৪৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সামছুজ্জামান রানুকে (মহালদার) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। সে গত তিন মাস যাবৎ অভিযুক্তের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। কাজের ফাঁকে মেয়েটির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে সামছুজ্জামান রানুর। তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সুযোগ খুঁজতে থাকে।

একপর্যায়ে ধর্ষিতার মাকে ম্যানেজ করে গত তিন মাসে একাধিকবার ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১ মার্চ মেয়েটিকে আবারো ধর্ষণ করা হয়।

এ সময় নির্যাতন থেকে বাঁচতে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাসা থেকে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি সোমবার (৪ মার্চ) থানায় হাজির হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সামছুজ্জামান রানুসহ ধর্ষণে সহায়তাকারী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের আতর আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪০) ও মেয়ের মাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মাসুক মিয়া বলেন, দলের পদ পদবি ব্যবহার করে কেউ অন্যায় করলে তার দায়ভার দল বহন করবে না। আওয়ামী লীগ কখনোই অন্যায়কারীদের দলে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজুর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাআমা/