২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়তে পারে শীত
প্রকাশ:
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৬:৫৭ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
উত্তুরে শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়ার দাপটের সঙ্গে দ্রুত নামছে হিমাঙ্কের পারদ। গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ক্রমশঃ দেশের পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে এই শৈত্যপ্রবাহ। এখন ধীরে ধীরে প্রায় সারাদেশে প্রচন্ড শীত জেঁকে বসবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই শীতের দাপট। অতঃপর তীব্র শীতের তরঙ্গ দেশের বেশীরভাগ অঞ্চল অতিক্রম করে ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্যের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ হতে প্রস্থান করবে। বছরের প্রথম পর্বের এই শৈত্য প্রবাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে বলে আবহাওয়া বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন। কিছুদিন পর আবারো আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ প্রবেশ করতে পারে দেশে। এদিকে গত এক সপ্তাহ যাবত চলমান ঘন কুয়াশা গতকাল রাতে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। সিলেট বিভাগের ২টি জেলায় আরো ১-২ দিন ঘন কুয়াশা বিরাজ করতে পারে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, সিলেট বিভাগের ২টি জেলায় অবশ্য আরো ১-২ দিন ঘন কুয়াশা বিরাজ করতে পারে। কুয়াশা প্রবেশ করেছিল রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে এবং বিদায় নিচ্ছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ হয়ে। তিনি জানান,গতকাল সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ চিত্রে দৃষ্ট হয় যে, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকার পাহাড়ের মধ্যবর্তী সমতল অঞ্চলে। এছাড়া বাংলাদেশের আর কোন জেলার ওপরে ঘন কুয়াশার আবরন অবলোকন করা যায়নি। যে কয়টি জেলার ওপর সামান্য কুয়াশার প্রলেপ দেখা যাচ্ছে তা আজ শুক্রবার আরো হ্রাস পাবে। আজ সকাল ১০ টার মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২টি জেলার ওপরে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে। এছাড়া ভারতের দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর ও জলপাইগুড়ি জেলা থেকে নতুন করে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে কুয়াশা বিস্তার করতে পারে। মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, গতকাল রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে দেশের অভ্যান্তরীণভাগে মৃদু শৈত্য প্রবাহ প্রবেশ শুরু করেছে। সম্ভাব্য এই শৈত্য প্রবাহ প্রতিদিন অল্প অল্প করে দেশের পূর্বদিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।শৈত্য প্রবাহ আগামী বুধবার ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিভাগ অতিক্রম করে ভারতের আসাম,মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্যের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে।এই শৈত্য প্রবাহ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে: খুলনা বিভাগের চূয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুস্টিয়া, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার উপর। এনএ/ |