চলছে অগ্রাহায়ণ মাস। হিম হিম ঠান্ডা আবহাওয়ায় দিনের বেলাতে কুয়াশা থাকে চারিদিকে। ঘরে ঘরে চলছে পিঠা-পুলি বানানোর ধুম। পিঠা বানাতে সবচেয়ে বেশি দরকার হয় খেজুরের গুড়। তাই শীত পড়তে না পড়তেই ভোজনরসিক বাঙালি খেজুরের গুড়ের খোঁজখবর রাখেন। সম্প্রতি সময়ে চুয়াডাঙ্গার খেজুর গুড়ের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। জমে উঠেছে খেজুরের গুড়ের জমজমাট হাট।
খাঁটি খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা বানালে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ থাকে অটুট। কিন্তু আজকাল গুড়েও মিশছে ভেজাল। বেশি মিষ্টি করার জন্য মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম চিনি, কখনও বা আকর্ষণীয় করতে মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম রং। কেনার সময় সে সব ভেজাল মেশানো গুড়ই কিনে আনছেন হয়তো! তাই তেমন স্বাদ ও গন্ধ কিছুই মিলছে না।
তবে গুড়ে আদৌ কোনও ভেজাল আছে কি না তা সহজেই বোঝা যায় কিছু কৌশল মেনে চললেই। কেনার সময় সতর্ক থাকুন এ সব উপায়ে।
১/ গুড় কেনার সময় গুড়ের ধারটা দুই আঙুল দিয়ে চেপে দেখবেন। যদি নরম লাগে, বুঝবেন গুড়টি বেশ ভাল মানের। ধার কঠিন হলে গুড় না কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২/ যদি গুড় একটু হালকা তিতা স্বাদের হয়, তবে বুঝতে হবে গুড় বহু ক্ষণ ধরে জ্বাল দেওয়া হয়েছে। তাই একটু তিতকুটে স্বাদ নিয়েছে। স্বাদের দিক থেকে এমন গুড় খুব একটা সুখকর হবে না।
৩/ গুড় যদি স্ফটিকের মতো তকতকে দেখতে হয়, তবে বুঝবেন, গুড়টি যে খেজুর রস দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তার স্বাদ খুব একটা মিষ্টি ছিল না। তাই গুড়কে মিষ্টি করে তুলতে এতে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম চিনি মেশানো হয়েছে। অনেক সময় গুড় খেতে গিয়েও চিনির সেই স্বাদ জিভে ঠেকে।
৪/ সাধারণত গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়। হলদেটে রঙের গুড় দেখলেই বুঝতে হবে তাতে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো হয়েছে।
৫/ কেনার সময় একটু গুড় ভেঙে মুখে দিয়ে দেখুন। জিভে নোনতা স্বাদ লাগলে বুঝবেন এই গুড় খাঁটি নয়। এতে কিছু ভেজাল মেশানো রয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার
এনএ/