প্রোস্টেট ক্যানসার হলো পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যানসার। পুরুষদের যৌনাঙ্গের অংশ প্রোস্টেটের ক্যানসার নিয়ে জানা খুবই প্রয়োজন। এর সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। প্রোস্টেটের ক্যানসারের বিষয়ে সঠিক তথ্য জানলে একে ঠেকানো সহজ।
এ ক্ষেত্রে ছয়টি তথ্য জানা খুব জরুরি। পুরুষ যৌনাঙ্গের কাজ হল বীর্যরস উৎপাদনে সাহায্য করা। প্রোস্টেটের কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়লে প্রোস্টেট ক্যানসার হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি হতে পারে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা ক্যানসারের কারণ।
লক্ষণ-
এটি সবচেয়ে বেশি নির্ণীত পুরুষের ক্যানসার। পুরুষের ক্যানসারে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ হলো এটি। শুরুর দিকে তেমন লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে না। কিন্তু শেষের দিকে যে যে লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা হলো:
১. শ্রোণি দেশে নিস্তেজ ব্যথা
২. বার বার প্রস্রাব
৩. প্রস্রাবের সময় ব্যথা,জ্বলুনি
৪. প্রস্রাবের দুর্বল ক্ষীণ ধারা
৫. বীর্য স্খলনে ব্যথা
৬. নিচের কোমরে,নিতম্বে ও উরুতে ব্যথা
৭. হাড়ে ব্যথা
এ ক্ষেত্রে কয়েকটি ঝুঁকি রয়েছে। সেসব ঝুঁকির কয়েকটি পরিবর্তনযোগ্য। আর আছে কিছু অপরিবর্তনীয় ঝুঁকি।
পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকিগুলো-
১. ডায়েট
২. স্থূলতা
৩. ধূমপান
৪. রাসায়নিক দূষণ
৫. যৌনবাহিত সংক্রমণ
অপরিবর্তনীয় ঝুঁকিগুলো-
১. বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
২.৬০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
৩. অতীতের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৪.এসব ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বাঁচার সম্ভাবনা বাড়ে যেসব পরীক্ষায়-
১. স্ক্রিনিং পিএসএ (প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন) পরীক্ষা। এই টেস্টের ফলাফল দেখে চিকিৎসক তাঁর কর্তব্য স্থির করবেন।
২. ডিজিটাল রেক্টাল এক্সামিনেশন পরীক্ষা। মলদ্বারে সার্জন আঙুল ঢুকিয়ে প্রস্টেট অনুভব করে সিদ্ধান্ত দেবেন।
৩. প্রোস্টেট বায়োপসির মাধ্যমে ক্যানসার আছে কি না জানা যায়।
৪. পর্যায় বিশেষে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসক। যদি স্থানিক থাকে তাহলে এক রকমের,আর ছড়িয়ে গেলে অন্য থেরাপির সিদ্ধান্ত নেবেন।
করণীয়-
প্রোস্টেট ক্যানসার ঠেকাতে চাই সুস্থ জীবনযাপন। এ কারণে–
১. শরীরচর্চা করতে হবে।
২. সতেজ ফল,শাকসবজি খেতে হবে।
৩. শরীরের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখতে হবে।
৪. নিয়মিত চেকআপ করতে হবে।
৫. পারিবারিক ইতিহাস থাকলে পরীক্ষা করতে হবে।
এনএ/