গাজায় শরণার্থী শিবিরে বর্বর ইসরায়েলি অতর্কিত হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক
প্রকাশ:
০১ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:২৬ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে চালানো এই হামলায় ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামলাস্থলের কাছে থাকা একটি হাসপাতালের পরিচালক অন্তত ৫০ জন নিহতের কথা জানিয়েছেন। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাবালিয়া শিবিরের একটি আবাসিক ব্লকে আঘাত হানে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ছোড়া বোমা। এতে কয়েক শ মানুষ হতাহত হয়েছেন। খান ইউনিসে একটি হাসপাতালের বাইরে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ আল-বাজুম সাংবাদিকদের বলেছেন, এসব আবাসিক ভবনে হাজারো বাসিন্দার বসবাস। দখলদার বিমানবাহিনী ছয়টি মার্কিন বোমা দিয়ে ভবনগুলো একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এটি গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞ। তিনি আরও বলেছেন, হামলায় অন্তত ৪০০ জন হতাহত হয়েছেন। অনেক দেরি হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরায়েলকে থামানো। গাজায় ইন্দোনেশীয় হাসপাতালের পরিচালক আতেফ আল-কাহলুত আল-জাজিরাকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছেন। হতাহতের তথ্য এখনও আসছে। ফলে নির্দিষ্ট করে সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, জ্বালানির অভাবে আগামীকাল থেকে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে অন্তত ৫০ জন নিহতের কথা বলা হয়েছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ১৫০ জন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। এএফপিকে উদ্ধৃত করে দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, হামলাস্থল থেকে অন্তত ৪৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি। গাজার ৮টি শরণার্থী শিবিরের মধ্যে বৃহত্তম জাবালিয়া। জাতিসংঘের মতে, এই শিবিরের আয়তন ১.৪ বর্গ কিলোমিটার। এখানে নিবন্ধিত শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৬০০০। আল-জাজিরা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের পর অন্তত তিনদিন এই শিবিরে বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এতে কয়েক শ’ মানুষ হতাহত হয়েছেন। এখানে জাতিসংঘ পরিচালিত তিনটি স্কুল রয়েছে। যেগুলোতে এখন বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এমআই/ |