ইসরায়েলি হামলায় গাজায় জাতিসংঘের ২৯ কর্মী নিহত
প্রকাশ:
২৩ অক্টোবর, ২০২৩, ০১:২১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
গাজায় চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতে জাতিসংঘের অন্তত ২৯ জন কর্মী নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) স্থানীয় সময় রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স(সাবেক টুইটার)-এ বলেছেন, ‘গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আমাদের ২৯ সহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি এখন নিশ্চিত। আরো বলা হয় আমরা শোকাহত এবং শোকে আছি। আমরা একে অপরের পাশে আছি এবং পরিবারগুলোর সঙ্গে আমরাও শোকাহত।’ হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর সংঘাত শুরু হয়। আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে হামাস জানিয়েছিল। এরপর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে অপারেশন ‘সোর্ডস অব আয়রন’ শুরু করে। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং অবরোধের কারণে গাজায় সংঘাত শুরু হয়েছিল। এই সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক হাজার ৮৭৩ শিশু এবং এক হাজার ২৩ জন নারীসহ কমপক্ষে চার হাজার ৬৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ইসরায়েলে এক হাজার ৪০০ মানষ নিহত হয়েছে। এদিকে গাজা একটি ভয়ানক মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। সেখানে বিদ্যুৎ নেই। পানি, খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার মিসর থেকে মানবিক ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি ছিল গাজায় প্রথম সহায়তা বিতরণ। এরপর আজ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা ১৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে মিসরীয় দিক থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করে ট্রাকগুলো। তবে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, জরুরি প্রয়োজন মেটাতে গাজায় প্রতিদিন অন্তত ১০০ ট্রাকের প্রয়োজন হবে। এনএ/ |