জুমার দিনের ফজিলত
প্রকাশ:
০৬ অক্টোবর, ২০২৩, ১২:১২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
মাওলানা নুর আলম বিন শাহ জাহান জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন- হে ঈমানদারগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য ডাকা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনা-বেচা ত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। সুরা জুমুআ : আয়াত ৯ রাসুল সা. বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৯৮। মহানবী সা. আরো ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে , কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার যেকোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৪০০ জুমার দিনের আমল ১. জুমার দিন আগে আগে মসজিদে গমন করা : আউস বিন আউস সাকাফি রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন- যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করল, দ্রুত সময়ে মসজিদে গেল ও (ইমামের) কাছাকাছি বসে মনোযোগসহ (খুতবা) শুনল, তাঁর প্রতি কদমের বিনিময়ে এক বছরের (নফল) রোজা ও নামাজের সওয়াব দেয়া হবে । আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫ ২. বেশি বেশি দোয়া করা : হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী সা. বলেন- জুমার দিনে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে, তখন আল্লাহর নিকট যে দোয়া করা হয় আল্লাহ তা কবুল করেন। আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮ ৩. সুরা কাহাফ পাঠ করা : হযরত আবু সাইদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়বে তা দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার জন্য আলোকিত হয়ে থাকবে। আর যে ব্যক্তি এই সুরার শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে অতঃপর দাজ্জাল বের হলে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। যে ব্যক্তি অজুর পর এই দোয়া পড়বে তার নাম একটি চিঠিতে লেখা হবে। অতঃপর তাতে সিল দেওয়া হবে, যা কেয়ামত পর্যন্ত আর ভাঙা হবে না।’সহিহ তারগিব, হাদিস : ১৪৭৩, আল মুসতাদরাক : ২/৩৯৯ ৪. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা : রাসুল সা. এরশাদ করেন, তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরূদ আমার সামনে পেশ করা হয়। আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ১০৪৭ আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জুমার দিনের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমল করার তাওফিক দান করুন। লেখক : তরুণ আলেম ও সাংবাদিকে এম আই/ |