শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ ।। ৭ চৈত্র ১৪৩১ ।। ২১ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া বৃহত্তর মিরপুরের ফল প্রকাশ গাজায় গণহত্যা ও ভারত মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে ইমাম পরিষদের মানববন্ধন ‘ফিলিস্তিনে ‌ইসরাঈলী বর্বরতা রুখতে মুসলিম বিশ্বকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে’ কওমি সনদ স্বীকৃতির কার্যকরী বাস্তবায়ন চায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন   ঈদে বিশেষ সম্মানী পাচ্ছেন ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা কামিল পরীক্ষা শুরু ৩ মে বেফাকের পাঠ্যপুস্তক এজেন্ট সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলনে ‘নারী ইউনিট’, যা বললেন শেখ মারুফ উত্তরার জামিয়াতুস সালাম আল-আরাবিয়া মাদানী নেসাবে ভর্তির সুযোগ রমজানে ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ দ্বীনিয়াত কোর্সের মাধ্যমে দ্বীন শিখছে

ইসলামী আন্দোলনে ‘নারী ইউনিট’, যা বললেন শেখ মারুফ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| নাঈমুর রহমান নাঈম ||

বাংলাদেশে ইসলামি মূল্যবোধ, শরিয়াহভিত্তিক সমাজব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় নারীদের মধ্যে দাওয়াহ ও তালিম কার্যক্রম আরও সুসংগঠিতভাবে পরিচালনার জন্য দলটি নারী ইউনিট চালু করেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, 'সৃষ্টিজগৎ নারী-পুরুষ উভয়ে মিলে গঠিত। নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে রাষ্ট্র, পরিবেশ, সভ্যতা, পরিবার ও সমাজ গড়ে তুলেছে। তবে আধুনিক বিশ্বে নারীদের আলাদা করে বর্গায়িত করার একটি প্রবণতা দেখা যায়।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারী ও পুরুষকে আলাদা নয়, বরং অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখে। অতীতে সংগঠনের রাজনৈতিক কাঠামোতে নারীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ সীমিত ছিল। তবে তখনও মায়েরা, বোনেরা ও স্ত্রীগণ ইসলামের পক্ষে দাওয়াতি কাজ করতেন।

শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারীদের দাওয়াতি কাজ আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। এর কয়েকটি কারণ উল্লেখযোগ্য:

১.  বাংলাদেশে নারীদের ইসলামবিরোধী মনোভাব এবং বিপথগামী করার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে। এ পরিস্থিতিতে নারীদের সচেতন করা এবং ইসলামমুখী করে তোলার জন্য সুসংগঠিত কার্যক্রম পরিচালনা অপরিহার্য।

২. নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশের জনগণের অর্ধেকই নারী। তাই নারীরা যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং ইসলামের পক্ষে অবস্থান নিতে পারেন, সে জন্যই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারী ইউনিট গঠন করা হয়েছে।

প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক স্পষ্ট করেন যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারী ইউনিট কোনো নারীবাদী সংগঠন নয়। এটি একটি তালিম ও দাওয়াহমূলক সংগঠন। এ সংগঠনের প্রধানকে 'মুয়াল্লিমা' পদ দেওয়া হয়েছে, যার মূল দায়িত্ব হবে নারীদের ইসলামী শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা নারীদের রাজনীতিতে বা রাজপথের আন্দোলনে নিয়ে আসছি না, মিছিল-মিটিং করাচ্ছি না। আমাদের লক্ষ্য হলো নারীদের ইসলামের দাওয়াত দেওয়া, সংগঠিত রাখা এবং ইসলামের মৌলিক চেতনাকে ধারণ করা।'

‘নারীদের ধর্মীয়, সামাজিক ও মানসিক উন্নয়নের জন্য ইসলামী মহিলা কমিউনিটি গঠন করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, এই সংগঠন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নারীদের মানসিকতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’- আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মারুফের মতে, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহিলা ইউনিট,এটি তথাকথিত নারীবাদী সংগঠন নয় এবং নারীকে মিছিল-মিটিংয়ে সামনে আনার পক্ষেও নয়। কারণ ইসলামের ইতিহাসে এমন কোনো দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না যে, নারীরা রাজপথের আন্দোলনে পুরুষদের সমানভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, 'ইসলাম নারীদের যে সম্মানজনক অবস্থান দিয়েছে, সেই অবস্থান বজায় রেখেই তালিম ও তারবিয়াতের মাধ্যমে ইসলামী দাওয়াহর কাজে তাদের সম্পৃক্ত রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারী ইউনিট কাজ করে যাবে।'

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ