|| হাসান আল মাহমুদ ||
কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষায় ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার লাভ করেছেন বাংলাদেশি দুই শিক্ষার্থী। মাওলানা শহীদুল্লাহ’র ছেলে মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ (২য়) ও মুফতী জাললুদ্দীনের ছেলে বাশীর আহমদ (৩য়)।
আজ রবিবার (১৬ মার্চ) ফলাফল ঘোষণা করেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ তাকী উসমানী ও নাযিমে আলা হযরত মাওলানা মুহাম্মদ হানিফ জালান্ধারী।
পাকিস্তান বেফাক সূত্রে জানা যায়, মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ’র মোট নাম্বার ৫৬৮ ও বাশীর আহমদের মোট নাম্বার ৫৬৬। এছাড়া, প্রথম স্থান অর্জনকারী পাকিস্তান করাচীর অধিবাসী মুহাম্মাদ আহমাদ’র মোট নাম্বার ৫৭১।
জানা গেছে, এই দুই শিক্ষার্থী পাকিস্তানের শীর্ষ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম করাচীতে চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দাওরায়ে হাদিস পড়েছেন। এর আগে মাওলানা রহমাতুল্লাহ রাজধানীর জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া ও বাশীর আহমদ চট্রগ্রামের দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় পড়েছেন।
এদিকে সাফল্য অর্জনকারী বাশীর আহমদ-এর মেঝো ভাই মাওলানা মুফতী হাসান শাকির কাসেমী (খতীব: পূর্ব কাফরুল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা; সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মুফতী: মারকাজুল উলূম আল ইসলামিয়া ঢাকা) আওয়ার ইসলামকে জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আমার ভায়ের এ সাফল্যে আমরা সবাই খুশি। আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া।’
তিনি বলেন, গত বছর আমার ভাই বাশীর আহমদ হাটহাজারী মাদরাসা হতে দাওরায়ে হাদিস সমাপন করেন। পরে আমি তার প্রবল আগ্রহ দেখে তাকে দারুল উলুম করাচীতে মুফতী তাকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ’র সুহবতে চিঠি লিখে পাঠাই।’
হাআমা/