|| হাসান আল মাহমুদ ||
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বহু বছর আমরা (বিএনপি ও জমিয়ত) একসঙ্গে কাজ করেছি। স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে তারা (জমিয়ত) যুক্ত ছিলেন। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে করা বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক ভোটের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে ইনশাআল্লাহ। এইরকম একটা নির্বাচন করার জন্য যা সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো করেই নির্বাচনটা হবে। সেটার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় যে সময় সেটা তো লাগবে। আমরা আলোচনা করে যেটা মনে করছি, সে জন্য খুব বেশি সময় লাগবে না।
এদিকে বৈঠক বিষয়ে জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা আফেন্দী জানান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আমন্ত্রণে আমাদের আজকের এই বৈঠক। বৈঠকে পতিত স্বৈরাচার রুখতে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে উভয় দল একমত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আরও বলেন, আমরা ঐক্যমত হয়েছি একটা জায়গায়, যে কোন মূল্যে আমাদের ঐক্য অটুট রাখতে হবে। আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে দ্রুত নির্বাচন চাই। আমরা যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছি তখনো বলেছিলাম, এখনো আমরা বলছি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতির বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন আমরা প্রত্যাশা করছি। আমরা আশা করছি, নির্বাচনে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা যতটুকু সংস্কার করে জাতিকে নির্বাচনের পথে নিয়ে যাবে অন্তবর্তী সরকার।
হাআমা/