বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্ব সব কিছুতেই রাহবারি করতে চায়। ওদের অনুসরণ করলে কোনো ফায়দা আসবে না। পশ্চিমা বিশ্বের সভ্যতা দিয়ে সংস্কার করা যাবে না। যে কোনো সংস্কার কুরআন -দিসের ভিত্তিতেই হতে হবে।
তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের কাছে জাগতিক বিভিন্ন জ্ঞান থাকলেও ওহির জ্ঞান নেই, তাই তারা অনুসরণ যোগ্য নয়। তারা মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ দিতে পারেনি, পারবেও না।
তিনি আরও বলেন, তাওহীদের উর্বর এই ভূমিতে, মুসলমানের এই দেশে মুসলিম অমুসলিম সবাই ইনসাফের সাথে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। কিন্তু বৈষম্য দূরী করা বা সংস্কার, সমতা বিধানের নামে নতুন বৈষম্য তৈরি করা, অথবা ইসলাম বিরোধী কোন নিয়ম-কানুন বা সভ্যতা সংস্কৃতি আমদানি করার সুযোগ নেই।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জুমার বয়ানে এসব বলেন খতিব।
মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের দেশ আজকে একটি সংকটময় পরিস্থিতিতে চলছে। বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার, সমতা বিধান এবং বৈষম্য দূরীকরণের আলোচনা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, সংস্কারের যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা কুরআন ও সুন্নায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাকে পাশ কাটিয়ে পশ্চিমা সভ্যতা ও আদর্শের অনুসরণ করা হচ্ছে। আমেরিকা, রাশিয়া ব্রিটেন বা অন্য কোন দেশের নীতি ও আদর্শ আমাদের উপকারে আসবে না। এগুলো সব পরীক্ষা করা হয়ে গেছে। এগুলোকে পুনরায় আমদানি করার কোন সুযোগ নেই।‘
এসময় খতিব বলেন, যদি কেউ এই কাজ করতে চায় তাদের কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে সতর্ক করতে চাই, আল্লাহকে ভয় করুন অন্যথায় আল্লাহর গজব নেমে আসবে।
তাকওয়ার গুরুত্ব প্রসঙ্গে খতিব মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক বলেন, তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। তাকওয়া না হলে ঈমানই থাকে না। আল্লাহকে ভয় করতে হবে এবং নবী (সা.) কে অনুসরণ করতে হবে। আলোকিত মানুষ হতে হলে তাকওয়া অর্জন করতে হবে।
খতিব বলেন, আজ কাল ঈমান নিয়ে ফিকির কম হচ্ছে। ঈমান কাকে বলে তাকওয়া কাকে বলে তা’ জানতে হবে। কালেমার মাধ্যমে কলবের জমিনে ঈমানের গাছ লাগাতে হয়। ঈমান নামক বৃক্ষের যত্ন নিতে হবে তা’হলেই কলবের জমিনে ঈমান মজবুত হবে। নেক আমলের মাধ্যমে সমস্ত ফেৎনা থেকে ফিরে থাকা যায়। যত গুনা থেকে বেঁচে থাকবো ঈমানের বৃক্ষ তত মজবুত হবে।
হাআমা/