|| হাসান আল মাহমুদ ||
মজলিসে দাওয়াতুল হকের ২৯তম মারকাজি ইজতেমা আগামী ২৩ নভেম্বর-২০২৪ শনিবার (২০ জমাদিউল উলা ১৪৪৬ হিজরি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সেদিন সকাল ৯ টায় মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর মারকাজ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া (যাত্রাবাড়ি বড় মাদরাসা) প্রাঙ্গণে শুরু হবে দিনব্যাপী এই আয়োজন। চলবে রাত ১০ টা পর্যন্ত।
আওয়ার ইসলামকে আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর দফতর ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা রিদওয়ান হাসান।
তিনি জানান, ইজতেমায় উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের শীর্ষ উলামা মাশায়েখগণ। ইজতেমায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি আজান, ইকামত, নামাজ, ওজু, জানাজাসহ সুন্নতের ব্যবহারিক জীবনও চর্চা হবে।
দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর সকল হালকার আমীর, নায়েবে আমীর, সর্বস্তরের ইমাম, মুয়াজ্জিন, উলামা-মাশায়েখ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে ইজতেমায় যথাসময়ে তাশরীফ আনার জন্য দাওয়াত করেছেন মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির, গুলশান আজাদ মসজিদের খতিব, কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি ও যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
উল্লেখ্য, হাকিমুল উম্মাত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজের পাঁচটি সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করার জন্য ১৯৩৯ সালে মজলিসে দাওয়াতুল হকের সূচনা করেন। ১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল হাকিমুল উম্মাতের খলিফা মাওলানা আবরারুল হক হক্কী বাংলাদেশে আসেন। তখন তিনি দাওয়াতুল হকের ১৩টি হালকা গঠন করেন। প্রত্যেক হালকার জন্য একজন আমীর ও একজন নায়েবে আমীর নিধার্রণ করে কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দেন। তারপর তিনি আল্লামা মাহমুদুল হাসানকে আমীরুল উমারা বা আমীরদের আমীর মনোনীত করেন। তখন থেকেই আল্লামা মাহমুদুল হাসানের তত্ত্ববধানে সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
হাআমা/