|| হাসান আল মাহমুদ ||
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের করণীয় শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ৭ প্রস্তাব।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসায় (জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া) কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক ও আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরামর্শ সভায় এসব প্রস্তাব গৃহীত হয়।
১। রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে সংবিধান সংস্কারে ইসলাম বিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না এবং সংবিধানসহ প্রতিটি কমিশনে উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
২। শিক্ষা সংস্কার কমিটিতে ইসলামী শিক্ষাবিদ, কারিকুলাম ও সিলেবাস বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩। সংস্কারের সুযোগে পাশ্চাত্য বিভিন্ন মতবাদ, ট্রান্সজেন্ডার, এলজিবিটিকিউ, উগ্র নারীবাদ, সর্বধর্মবাদ ইত্যাদি অনুপ্রবিষ্ট করা যাবে না।
৪। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শান ও মান এবং খতমে নবুওয়াত সমুন্নত রাখার জন্য আইন পাশ করতে হবে।
৫। রাষ্ট্র, সমাজ ও সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির মূল্যায়ন করতে হবে।
৬। বাংলাদেশের যাবতীয় দ্বীনি কার্যক্রমের শরীয়াভিত্তিক বিশ্লেষণ ও দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য আল্লামা মাহমূদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে।
৭। আজকের জাতীয় পরামর্শ সভা থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবাবলীর আলোকে ইসলামী অঙ্গনে ব্যাপক আকারে ঐক্যের রূপরেখা তৈরি করে আল-হাইয়াতুল উলিয়ায় উপস্থাপন করা হবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া জাতীয় এ পরামর্শ সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ'র আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, ঢালকানগর পীর মুফতী জাফর আহমাদ, বেফাক মাহসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মানুসুরুল হাসান রায়পুরী, ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ইসলামি আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মুফতি মুস্তাকুন্নবী (কুমিল্লা), মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, জমিয়ত মহাসচিব ড. মহিউদ্দিন ইকরাম, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল (নারায়নগঞ্জ), মাওলানা মুসলেহুদ্দীন গওহরপুরী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান, মাওলানা নুরুল ইসলাম (গাজীপুর), মাওলানা আলী আহমাদ (পীর সাহেব চণ্ডিবর্দি), মাওলানা শওকত হোসেন সরকার, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা মাসউদুল করীম, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযা, মাওলানা বোরহানুদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আনওয়ারুল হক, মুফতি মাওলানা গোলামুর রহমান, শহীদুল আনওয়ার সাদী, মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি সোহাইল প্রমুখ।
হাআমা/