|| হাসান আল মাহমুদ ||
গণঅভ্যুত্থানে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের কবরের পাশে ‘জামিয়া শহীদ আবু সাঈদ’ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিয়েছে উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টম্বর) রাতে মাওলানা ইসলামাবাদী মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করতে যাই আমরা। এসময় আমাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, অর্থ সম্পাদক মুফতী মুনীর হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশীরুল্লাহ প্ৰমুখ।
তিনি বলেন, আমরা যখন গেলাম, তখন স্থানীয় জনতা ও ওলামায়ে কেরাম শহীদ আবু সাঈদের কবরের পাশে মাদরাসা করার প্রস্তাবটি দিয়েছেন। এসময় স্থানীয় একজন লোক মাদরাসার জন্য জায়গা দেওয়ার কথা বলেছেন। তখন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান সাহেবের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়ানো হয়।
হেফাজত নেতা জানান, এখানে একটা মক্তব হওয়া দরকার, মাদরাসা হওয়া দরকার। তার কবরকে কেন্দ্র করে যেন শিরক-বেদআতের আখড়া না বনে যায়, এসব বিষয়ে যখন আলোচনা হচ্ছিল, তখন স্থানীয় জনতা ও আলেমওলামা উদ্বুদ্ধ হয়ে জায়গা ও মাদরাসা করার কথা প্রস্তাব করেন।
প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের জাতীয় সংগ্রামের ইতিহাসে এখন এক অবিশ্বাস্য প্রেরণার নাম শহীদ আবু সাঈদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন এই অকুতোভয় সংগ্রামী।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ছিলেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া প্রথম শিক্ষার্থী।
হাআমা/কেএল