|| হাসান আল মাহমুদ ||
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, কওমি সনদ বাস্তবায়নের দাবি জানালে সহযোগিতা করা হবে। এসময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কওমি শিক্ষাসনদ বাস্তবায়নের জন্য আল-হাইতুল উলয়া, বেফাক ও অন্যান্য কওমি শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে দাবি জানাতে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কওমি শিক্ষা সনদ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত প্রজ্ঞাপনে আইন আকারে পাশ করা। এটা কোনো সাধারণ নির্বাহী আদেশ নয়। আপনারা দাবি তুলুন, আমি শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দশ বার যেতে হলেও দশ বার যাব। কিন্তু আপনাদের তো দাবি জানাতে হবে।
আরও পড়ুন : হাটহাজারী মাদরাসায় সংবর্ধিত ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ
তিনি জানান, কওমি শিক্ষা সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা কী হবে, সনদের বাস্তবায়নটা কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে হতে পারে সে বিষয়ে কওমি বোর্ড কর্তৃপক্ষ একটি গুছানো সুশৃঙখল আলোচনা লিপিবদ্ধ করে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দিন। আমি শতভাগ আপনাদের সঙ্গে আছি। এই হাটহাজারী মাদরাসায় যেমন আছি, তেমনি সচিবালয়েও আছি।
এসময় ধর্ম উপদেষ্টা কয়েকটি খাত তুলে ধরে বলেন, সরকারি সকল মসজিদের ইমাম-খতিব, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ-বিজিবিতে ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক, বিয়ের সরকারি কাজী ইত্যাদি খাত-ক্ষেত্র হতে পারে। যে কোনো পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে যেন কওমি শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা নিতে পারে তার সুযোগও যেন দেয়া হয়।
কওমি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে গিয়ে কথাবার্তা বলেন, আলোচনা করেন, তাহলে আমার মনে হয় অত্যন্ত ফলপ্রসু কাজ হবে। এ ক্ষেত্রে আমি ভেতরে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতায় থাকব ইনশাআল্লাহ।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশের শীর্ষ কওমি মাদরাসা উম্মুল মাদারিস আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় তাঁকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদরাসাটির মহাপরিচালক আল্লামা খলিলুর রহমান কাসেমী, আল্লামা শেখ আহমাদ, মুফতি জসীম উদ্দীন, মাওলানা শুআয়েব জমিরী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা মুনির আহমাদ প্রমূখ।
জানা গেছে, দুপুর একটায় তিনি হাটহাজারী মাদরাসায় পৌঁছান। মাদরাসা মাকবারা ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি উপস্থিত ওলামায়ে কেরাম, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য বক্তব্য প্রদান করেন। মাদরাসা, শিক্ষক ও ছাত্রবৃন্দ পক্ষ হতে তাঁকে বিশেষ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
কওমি শিক্ষার্থীদের বাইরের দেশে উচ্চ শিক্ষা প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দসহ বিভিন্ন উচ্চ দ্বনি বিদ্যাপীঠে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যায় এবং যেতে চায়, তদের জন্য ভারতের ভিসার ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাথেও আলোচনা হয়েছে- কওমি শিক্ষার্থীরা করাচীসহ সেদেশের যেকোনো উচ্চ শিক্ষার জন্য ভিসা দিয়ে যেতে পারবে।
ফেসবুকে সমালোচনা নয়, প্রয়োজনে চিঠি লিখুন এ আহ্বান রেখে তিনি বলেন, ‘আমি মানুষ। কাজ করতে গিয়ে ভুল হতে পারে। ফেসবুকে সমালোচনা না করে আমাকে পরামর্শ বা সংশোধনমূলক চিঠি লিখুন অথবা আমার সহকারীদের কাছে বার্তা পৌঁছান। আমাকে ইসলাহ করতে চাইলে আমাকে বলুন।’
হাআমা/