|| হাসান আল মাহমুদ ||
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইতোমধ্যে দুই দিন পার হয়ে গেছে। আজ বুধবার রাতেই ঘোষণা করা হতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চূড়ান্ত রূপরেখা। ইতোমধ্যে শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এই সরকারে আরও কারা থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনার মধ্যে এই সরকারে আলেম প্রতিনিধি রাখার দাবি জোরালো হচ্ছে।
অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ব্যাপারে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। আলেমদের মধ্য থেকে কে থাকতে পারেন এই সরকারে সে আলোচনাও উঠেছে। তাদের মধ্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী প্রমুখের নাম প্রস্তাবে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব থেকেও একজন রাখা হোক। এ ক্ষেত্রে মধ্যবয়সী, যুগসচেতন আলেম শরীফ মুহাম্মদের নাম প্রস্তাব করছি।’
মাসিক আদর্শ নারী’র সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী লিখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধির নাম দেখা গেলেও ইসলামী অঙ্গনের কোন প্রতিনিধির নাম দেখা যাচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারে ইসলামী অঙ্গনের প্রতিনিধি চাই।’
বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক আমিন ইকবাল বলেন, ‘দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সব ঘরানার লোক থাকা চাই। ধর্মীয় অঙ্গন থেকে মাওলানা মাহফুজুল হক, শায়খ আহমাদুল্লাহ বা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইনের নাম প্রস্তাব করছি।'
কলরব শিল্পী আবু রায়হান ও মুহাম্মদ রদরুজ্জামান আলেম প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়ে পোস্ট করেন ফেসবুকে। লিখেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একজন আলেমকে চাই। আমার পছন্দ শায়েখ আহমাদুল্লাহ।’
এদিকে অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকারে আলেম প্রতিনিধি রাখার প্রয়োজন আছে কি না জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ আওয়ার ইসলামকে জানান, ‘অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকারে আলেম প্রতিনিধি রাখার অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা আছে। আমরা সে বিষয়ে নজর রাখছি।’
তিনি বলেন, ‘আলেম প্রতিনিধি রাখার বিষয়ে আমরা প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।’
হাআমা/