|| হাসান আল মাহমুদ ||
সরকারি মাদ্রাসা-ই- আলিয়া, ঢাকার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেছেন, সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি বিশ্বাস করি, শব্দচয়নের ত্রুটির জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার একটি বক্তব্য ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা ও ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এই ভুল বুঝাবুঝির অবসানের স্বার্থে নিজের অবস্থান পরিস্কার করা প্রয়োজন মনে করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তি জীবনে আহলে বাইত আতহার ও আজমতে সাহাবায়ে কেরাম বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি সাহাবায়ে কিরাম মি’আরি হক অর্থাৎ তারা সত্যের মাপকাঠি। সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে আমার বিশ্বাসের সাথে অভিন্ন শিক্ষা জীবন থেকেই আমি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদায় আমি বিশ্বাসী।’
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আবদুর রশীদ দাবি করেন, ‘কোথাও কোথাও আমার বক্তব্যের খন্ডিত অংশ প্রচার করে বলা হচ্ছে- আমি দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু সম্পর্কে কটুক্তি করেছি। অনেক জায়গায় এসেছে আমার বক্তব্য দ্বারা প্রথম তিন খলিফার খেলাফতের অবৈধতা প্রমাণ করে। কিন্তু আমি বক্তব্যের কোথাও দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক রাদিআল্লাহ আনহুকে নিয়ে কটাক্ষ বা কটুক্তি করিনি।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামের প্রথম তিন খলিফার খেলাফতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কল্পনাও করতে পারি না।’
এসময় তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বক্তব্যে শব্দচয়নে অনাকাঙ্খিত ত্রুটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের দৃষ্টিতে গোচরে আসায় তারা আমাকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এবং শব্দ চয়নের ত্রুটির জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
রাসূল সা. বলেছেন, ‘মুমিন ব্যক্তি তার ভায়ের আয়না স্বরূপ। সে তার মধ্যে কোনো ত্রুটি দেখা দেখতে পেলে তা সংশোধন করে দেয়। আমি আশা করি আমার এ বক্তব্যের পরে সকলের ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সরকারি মাদ্রাসা-ই- আলিয়া ঢাকার অধ্যক্ষ অধাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ এক বক্তব্য প্রদান করেন। সেখানে তাঁর প্রদত্ত ‘সাহাবায়ে কেরামের সত্যের মাপকাঠি ও ইসলামের প্রথম তিন খলিফা বিষয়ে’ বিতর্ক সৃষ্টি করে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা সাইটে সমালোচনা করা হয়। এই সমালোচনার জবাবে তিনি ভিডিও বার্তায় এ বক্তব্য প্রদান করেন।
হাআমা/