‘অনেক বক্তার আমল-আখলাক ঠিক নেই, নিজেরা বয়ান করেন ঠিকই, কিন্তু নিজেরাই হেদায়েতপ্রাপ্ত না, তাই পাবলিকের চেয়ে বক্তাদেরই প্রয়োজন এখন হেদায়েতি বয়ান’ বলে মন্তব্য করেছেন বুজুর্গ আলেম, আওলাদে রাসুল সাইয়েদ মাহমুদ আসআদ মাদানীর খলিফা, রামপুরা আফতাবনগর আল-জামিয়াতুল ইলামিয়া ইদারাতুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মোহাম্মদ আলী।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) তার মাদরাসা অফিসে আওয়ার ইসলামের চিফ রিপোর্টার হাসান আল মাহমুদকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
‘বক্তাদের জন্য বিশিষ্ট আলেম বা বোর্ড প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কোনো নীতিমালা করা যায় কি না?’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব নীতিমালায় কিছুই হবে না। কারণ, একজন বক্তার কথা-ই সাধারণ মানুষ বেশি শোনে। দেশের ইলমওয়ালা বড় আলেমকে কতজন মানুষ চেনে!’
তিনি বলেন, পাবলিক দেখে কার সুর ভালো, কন্ঠ ভালো। কে হাসাতে পারে, কাঁদাতে পারে। এমন গুণের বক্তাকে দাওয়াত করে আনলে লোকজন বেশি হবে, কালেকশন ভালো হবে।
তিনি বলেন, তাদের উদ্দেশ্যটাইতো ভুল। ভুল উদ্দেশ্যের জন্যই বক্তারাও ভুল পথে হাঁটে। এজন্য আমি বলব, বক্তা ভাইয়েরা যদি খালেস দ্বীনের ফায়দার নিয়তে ওয়াজ করেন, দেশের আল্লাহওয়ালা তাকওয়াবান ওলামা-মাশায়েখের সঙ্গে ইসলাহি সম্পর্ক রাখেন, নিজেদের হেদায়েতের জন্য তৈরি থাকেন, তাহলে তারা ওই ভুল উদ্দেশ্যে নেওয়া আয়োজনেও পা বাড়াবেন না। বক্তাগণ যদি আমল শুরু করে দেন, তাহলে পাবলিকও ঠিক হতে বাধ্য হবে।
কেএল/