দেশ-জাতির কল্যাণে জনসচেতনতামূলক ‘মদ-নেশার কুফল ও প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা আগামীকাল (৭ অক্টোবর ২০২৪ ঈ.) সোমবার।
রাজধানী ঢাকার রামপুরায় অবস্থিত জামিয়াতুল আস'আদ আল-ইসলামিয়া মিলনায়তনে সকাল ১০ টায় মাদানী মজলিস বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনায় এই আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হবে বলে আওয়ার ইসলামকে জানায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
জামিয়াতুল আস'আদ আল-ইসলামিয়া রামপুরা, ঢাকা’র পরিচালক, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকা’র নায়েবে মুহতামিম শায়খ মুফতী হাফীজুদ্দীন-এর সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করবেন দেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম।
মদ ও নেশার ভয়াবহ পরিণতি থেকে ঈমান ও জীবন হিফাজত করার আহ্বান জানিয়ে ইতোমধ্যে একটি প্রচারপত্র প্রকাশ করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। তাতে লেখা রয়েছে, বর্তমানে আমাদের দেশ এবং সমাজের সর্বত্র মদ ও নেশার মতো মরণব্যাধি ব্যাপক আকার ধারণ করছে। ফলে সমাজের একটা শ্রেণী বিশেষত যুব সমাজ মাদকাসক্ত কিংবা নেশায় অভ্যস্ত হয়ে তাদের অমূল্য সম্পদ ঈমান এবং জীবন ও যৌবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। সর্বোপরি ইহকালীন ও পরকালীন, দৈহিক ও মানসিক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, যা-উপলব্ধি করার মত ন্যূনতম জ্ঞানটুকুও তাদের নেই।
মদ ও নেশার ধর্মীয় এবং সামাজিক ক্ষতিকর কয়েকটি দিক হলো-
১. মাদকাসক্ত ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না। (ইবনে মাজাহ-৬৫৮৭)
২. মদ ও নেশা সকল অপরাধের মূল। (ইবনে মাজাহ-৩৩৩১)
৩. মাদকাসক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় ঈমান নসীব হয় না। (নাসাঈ- ৭১২৭)
৪. মাদকাসক্ত ব্যক্তির পরিবারে কোন সুখ-শান্তি থাকে না।
৫. মাদকাসক্ত ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি লোপ পায়।
৬. মাদকাসক্ত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
৭. মাদকাসক্ত ব্যক্তি সর্বদা উদ্বিগ্ন ও হতাশাগ্রস্ত থাকে।
৮. মাদকাসক্ত ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
৯. মাদকাসক্ত ব্যক্তি চরম অর্থ সঙ্কটের সম্মুখীন হয়।
১০. মাদকাসক্ত ব্যক্তি সকলের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়।
সুতরাং হে দেশবাসী ও মুসলিম ভাই- বোনেরা! শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মদ ও নেশার মতো মরণ ফাঁদে পা দিয়ে নিজের ঈমান-আমল ও জীবন-যৌবন বিনষ্ট করো না। তাওবা করে শান্তি ও জান্নাতের পথে ফিরে আসো! তোমার দুনিয়া ও আখেরাত সুখের হবে।
হাআমা/