সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ’ ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইসলামী আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’ তাড়াইলে মাদক-জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশ নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, দ্রুতই রোডম্যাপ : ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শনিবার বাংলাদেশ সফরে এলেন দেওবন্দের উস্তাদ মুফতি ফখরুল ইসলাম এলাহাবাদী আগামীকাল শরীফগঞ্জে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী

ছোট্ট একটি কোরআনের কারণে ইসলামের পথে পুরো পরিবার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ১৯ শতকের শেষ দিকে প্রকাশিত ৯০০ পৃষ্ঠার একটি কোরআন, যার আকৃতি ছিল মাত্র দুই সেন্টিমিটার চওড়া এবং এক সেন্টিমিটার পুরু। হাতের তালুতে রাখলে অন্যের নজরে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অথচ কোরআনের এই কপিটির কারণেই মুসলমান হয়ে গিয়েছিল ক্যাথেলিক খ্রিস্টানদের পুরো একটি পরিবার। খবর এএফপি।

ডাকটিকির আকারের এই কোরআনটি বংশপরম্পরায় সংরক্ষণ করছেন আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানার বাসিন্দা মারিও পুরুসি। তিনি জানান, কোরআনের এই কপিটি আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করছি। মাত্র দুই সেন্টিমিটার (০.৭ ইঞ্চি) চওড়া এবং এক সেন্টিমিটার পুরু কপিটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস ছাড়া পড়া সম্ভব হয় না।

তিরানায় অবস্থিত বেদের ইউনিভার্সিটির কোরআনিক স্ট্যাডিজের গবেষক এলটন কারাজ কোরআনের এ কপিটির ব্যাপারে বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট কোরআনের কপিগুলোর একটি। ধারণা করা হচ্ছে, ৯০০ পৃষ্ঠার কপিটি প্রকাশ করা হয়েছিল ১৯ শতকের শেষ দিকে।

ক্ষুদ্রাকৃতির কোরআনের কপিটির বদৌলতেই পুরুসি পরিবার ক্যাথলিক খ্রিষ্টান থেকে ইসলামের পথে চলে আসে। পুরুসির দাদা-দাদি একসময় কসোভোর জাকোভিকা অঞ্চলে একটি নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি খনন করছিলেন। সেখানে নিখুঁতভাবে সংরক্ষিত একটি মৃতদেহের সন্ধান পান। ওই মৃতদেহের বুকের ওপর রাখা ছিল অক্ষত এই কোরআনের কপিটি। এটি দেখে পুরুসির পূর্বপুরুষরা অলৌকিক নিদর্শন মনে করে সপরিবারে ইসলাম গ্রহণ করে।

পুরুসির দাদা রাজা জোগের সেনাবাহিনীর একজন অফিসার ছিলেন। তিনি প্রতি রাতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে কোরআন পাঠ করতেন। তবে ক্ষমতা পাল্টে গেলে তখন সব ধরনের ধর্মীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয় এবং ধর্ম পালনকারীদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একসময় পুলিশ তাদের সেই কোরআনের কথা জেনে ফেলে। তারা সেই কোরআন উদ্ধার করতে এসে অনেক ভাঙচুর করলেও সেটি পায়নি।

পরে পুরুসির বাবা কোরআনের এই কপিটি দেশের বাইরে বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেন। ১৯৯৯ সালে কসোভো যুদ্ধ চলাকালে সুরক্ষিত রাখতে কোরআনের কপিটি মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে কোরআনের কপিটি উদ্ধার করা হয়। ২০১২ সালে বাবার মৃত্যুর আগে কোরআনের কপিটি পুরুসি উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন।

পুরুসি বলেন, জাদুঘরসহ বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা থেকে কোরআনের এই কপিটি বিক্রির প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু কোনোভাবেই আমি তা বিক্রির কথা ভাবতে পারি না। তা আমাদের পরিবারের সংরক্ষণে রয়েছে এবং আমাদের সঙ্গেই সবসময় থাকবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ