মুফতি নুরুল আলম ইসহাকী
যশোর থেকে
শাইখুল হাদিস আল্লামা জাকারিয়া রহ. এর খলিফা, ফতুয়ায়ে মাহমুদিয়ার মুসান্নিফ মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহি রহ. এর খাস খাদেম, বরেণ্য আলেম মাওলানা ইব্রাহিম আফ্রীকির সোহবতে যশোরের সতিঘাটা আশরাফুল মাদারিসে চলছে ইতিকাফ। এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় তিন হাজার আলেম ও সাধারণ মানুষ। রয়েছেন তিন শতাধিক বিদেশী মুসল্লি।
মাওলানা ইব্রাহিম আফ্রীকির তত্ত্ববাধানে চলমান এই ইতিকাফে প্রতিদিন তারাবিতে ৩/৪ পারা তেলাওয়াত করা হয়। তারাবির পর চলে সুরা ইয়াসিন, দরুদ শরীফের আমল, দোয়া, অতঃপর বয়ান। রাত আড়াইটা থেকে শুরু হয় তাহাজ্জুদ ও সেহেরির আমল। বাদ ফজর চলে প্রত্যাশীদের সঙ্গে মুসাফাহা, আগ্রহীদেরকে বায়াত (তবে তার জন্য অবশ্যই একদিন পূর্বে ফজরের পর নাম লেখাতে হয়)। সকাল ১০:৩০ থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত আকাবিরদের রেসালা থেকে তালিম করা হয়। ১১:৩০ থেকে ১২:৩০ হয় কেরাত ও নামাজের মশক। বাদ জোহর খতমে খাজেগান, দোয়া, অতঃপর জিকিরের মজলিস অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আছর হয় কিতাবের তালিম। এছাড়া প্রতি নামাজের সময় থেকে একটি করে হাদিসের তালিম দেয়া হয়।
চলমান এই ইতিকাফে এ পর্যন্ত উপস্থিত হয়েছেন দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাশেম নোমানী, মুফতি মাহমুদ রাজস্থানী, মুফতি সাবিল আহমদ ইন্ডিয়া, মুফতি ইয়াকুব মাদ্রাজি, মাওলানা ছিদ্দিকুল্লাহ (সদরে জমিয়ত কোলকাতা, বর্তমান মন্ত্রী) ছাত্তা মসজিদের সাবেক ইমাম মুফতী সোহাইল, মুফতী আব্দুর রশীদ গুজরাটী, মুফতী শওকত আলী ভাগলপুরী, মাওলানা সিদ্দিক আহমাদ হায়দ্রাবাদ,
বাংলাদেশের মুফতি শফিকুল ইসলাম (সাইনবোর্ড), মুফতি আরশাদ রাহমানি (বসুন্ধরা), মুফতি মাহফুজুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মুফতি বশিরুল হাসান খাদিমানি, মুফতি মামুনুর রশিদ (উত্তরা), খুলনা বিভাগীয় কওমি পরিষদের সভাপতি মাওলানা ইয়াহিয়া, আল্লামা মোস্তফা মাহমুদী (কুমিল্লা), মাওলানা আহমদ মাইমুন (মালিবাগ), মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী (উত্তরা), মাওলানা মকবুল হোসাইন (বারিধারা), মুফতি শাহেদ রাহমানী (চেয়ারম্যান, শরীয়া বোর্ড; শাহ জালাল ইসলামী ব্যাংক), মুফতি ড. অধ্যাপক গাজী জহিরুল ইসলাম (ডেপুটি ডায়েক্টর কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ), মাওলানা ওবায়দুল্লাহ (মাকবাতুল আযহার), মাওলানা আব্দুল হালিম (চান মসজিদ, মগবাজার), মাওলানা আতিকুল্লাহ, মাওলানা গাজী ইয়াকুব (লালবাগ), মাওলানা আব্দুল মতিন দেওবন্দী (ঢাকা), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী (মানিকনগর), মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতী জাকির হোসাইন টিকরপুর, মুফতী মিজানুর রহমান সোনাহাজারা প্রমূখ।
এছাড়া ভারতের ২৪ পরগনা, আসাম, কোলকাতার বহু আলেম এতেকাফে অংশগ্রহণ করেছেন।
কেএল/