এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ।।
মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক উৎসবের দিন শুক্রবার । এই দিনকে ‘ইয়াওমুল জুমা’ বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও গোটা পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ছয় দিনের শেষ দিন ছিল জুমাবার। এই দিনেই হজরত আদম (আ.)কে সৃজন করেছেন।
এ দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এ দিনেই জান্নাত থেকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়।
কেয়ামত এ দিনেই সংঘটিত হবে। আল্লাহ তায়ালা প্রতি সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়। ইসলামে জুমআর দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বয়ং আল্লাহপাক কোরআন পাকে ইরশাদ করেন ‘হে মুমিনগণ জুম্মার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশেও দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর’। সূরা জুমা, আয়াত নং-৯।
তাই জুমআর আজানের আগেই সব কর্মব্যস্ততা ত্যাগ করে জুমআর নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে মসজিদে গমন করা সব মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। এ দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, তখন মানুষ যে দোয়াই আল্লাহর নিকট করবে, ইনশাআল্লাহ তা-ই কবুল হবে। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা হাদিসে নববী দ্বারা প্রমাণিত।
জুম্মার দিনের আরো কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে—
১. সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা: জুম্মার দিনে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন পাঠকের জন্য আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে।
২. বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির-আজকার করা মুস্তাহাব।
৩. জুম্মার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুম্মার দিনে নবী করীম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে। এমনিতেই যে কোনো সময়ে একবার দরুদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে দশটা রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য দশবার রহমতের দোয়া করেন।
৪. জুম্মার নামাজের পূর্বে দুই খুতবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা।
৫. সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সাথে জিকির, তাসবীহ ও দোয়ায় লিপ্ত থাকা।
আল্লাহ সকল মুসলিম মুসলিমাকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন।
এনটি