সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ’ ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইসলামী আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’ তাড়াইলে মাদক-জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশ নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, দ্রুতই রোডম্যাপ : ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শনিবার বাংলাদেশ সফরে এলেন দেওবন্দের উস্তাদ মুফতি ফখরুল ইসলাম এলাহাবাদী আগামীকাল শরীফগঞ্জে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী

সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ অসহায় যুক্তি-তর্ক (১ম পর্ব)

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি জুনাঈদ আহমাদ।।

একই দিনে সারা বিশ্বে ঈদের দাবিটি সম্পূর্ণ নতুন একটি দাবি। সম্প্রতি সময়ে অতি উৎসাহী একশ্রেণীর লোক একই দিনে সারা বিশ্বে ঈদ উদযাপনের দাবি তুলেছে। দুই যুগ পূর্বেও বাংলাদেশে এধরনের উদ্ভট দাবিদার লোক ছিলইনা।

কিন্তু এখন পালে হাওয়া লেগেছে ভালই। বাংলাদেশর একশ্রেণীর লোক দাবি তুলছেন,সৌদি আরবের সাথে ঈদ করতে হবে। কিন্তু সৌদি আরবের নির্ভর যোগ্য উলামায়ে কেরাম ও মুফতিগণ বলছেন এর সম্পূর্ণ উল্টো কথা।

রাবেতাতুল আলামিল ইসলামিয়ার ফিকহী বোর্ড আল-মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিম্নোক্ত সম্মিলিত ফতোয়া প্রকাশ করা হয়েছে-
لا حاجة إلى توحيد الأهلة والأعياد في العالم الإسلامي، لأن توحيدها لا يكفل وحدتهم، كما يتوهمه كثير من المقترحين لتوحيد الأهلة والأعياد. وأن تترك قضية إثبات الهلال إلى دور الإفتاء والقضاة في الدول الإسلامية، لأن ذلك أولى وأجدر بالمصلحة الإسلامية العامة، وأن الذي يكفل توحيد الأمة وجمع كلمتها، هو اتفاقهم على العمل بكتاب الله وسنة رسول الله صلى الله عليه وسلم في جميع شؤونهم.

মুসলিম জাহানে চাঁদ ও ঈদকে এককরার কোনই প্রয়োজন নেই। কারণ তা মুসলমানদের ঐক্য নিশ্চিত করবেনা। যেমনি চাঁদ ও ঈদ এক করার প্রস্তাপকদের ধারনা।

চাঁদ দেখা প্রমাণিত করার বিষয়টি ইসলামি দেশগুলোর বিচার ও ফতোয়া বিভাগের উপর ছেড়ে দেয়াই সমীচিন। ইসলামের সাধারন কল্যাণ বিবেচনায় এটিই অধিকতর উত্তম ও উপযোগী। যে বিষয়টি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য নিশ্চিত করবে তা হচ্ছে সকল বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী আমল করার বিষয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। (কারারাতু মাজমায়ীল ফিকহিল ইসলামি, মক্কা মুর্কারামা- ৮৭ )

- وقد ذهب جمع من أهل العلم إلى أن لكل بلد رؤيته إذا اختلفت المطالع
وهذا قول له حظه من القوة، وقد رأى القول به أعضاء مجلس هيئة كبار العلماء في المملكة العربية السعودية جمعًا بين الأدلة، والله ولي التوفيق[৪].

একদল উলামায়ে কেরাম এই মত পোষণ করেন যে, উদয়স্থল ভিন্ন হলে প্রত্যেক শহরের অধিবাসীদের জন্য নিজেদের চাঁদ দেখাই ধর্তব্য। এটি শক্তিশালী মত। সৌদি আরবের هيئة كبار العلماء এর সদস্যগণ এমতটি গ্রহণ করেছেন। এসংশ্লিষ্ট দলিলসমূহের মাঝে সমন্বয় সাধনের উদ্দেশ্যে। (مجموع فتاوي:ابن باز- ১৫/৮৩)

শায়েখ সালেহ আল ফাওযান বলেন-
قال النبي صلى الله عليه وسلم ্রصوموا لرؤيته وأفطروا لرؤيته ، فعلق صلى الله عليه وسلم وجوب الصيام برؤية الهلال وذلك يختلف باختلاف المطالع على الصحيح من قولي العلماء، ولا شك أن المطلع في الجزائر يختلف عن المطلع في المملكة فكل إنسان يصوم مع أهل الإقليم وأهل البلد الذي هو فيه إذا رأوا الهلال، ويفطر معهم،
রাসুল সা. রোযা রাখাকে চাঁদ দেখার সাথে যুক্ত করেছেন। আর উলামাদের দুটি মতের মধ্য থেকে বিশুদ্ধ মতানুসারে উদয়স্থলের ভিন্নতার কারনে চাঁদের বিধান ভিন্ন হয়। সুতরাং প্রত্যেক ব্যক্তি যে এলাকায় বা শহরে অবস্থান করছে সে সেখানের লোকেরা যখন চাঁদ দেখবে সে তখনই তাদের সাথে রোযা রাখবে ও ঈদ করবে।

الراجح: القول الثاني : وهو أن لكل أهل بلدة رؤيتهم إذا كان هناك مسافة بين البلدتين يمكن أن يرى في البلدة الأخرى، وهذا ما عليه العمل، وبالله التوفيق..
প্রত্যেক এলাকার অধিবাসীদের জন্য নিজেদের চাঁদ দেখাই ধর্তব্য। যদি দুই এলাকার মাঝে এপরিমান দূরত্ব থাকে যে, এক যায়গায় চাঁদ দৃষ্টি গোচর হওয়া সত্ত্বেও অন্য যায়গায় দৃষ্টি গোচর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। (মাজমুয়ে ফফতোয়া শায়েখ সালেহ আল ফাওযান - ২/৩৮৮)

শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সালেহ আল উসাইমীন বলেন-
قتضى الدليل الأثري النقلي والدليل النظري العقلي أن نجعل لكل مكان حكما خاصا به فيما يتعلق بالصوم والفطر، ويُربط ذلك بالعلامة الحسية التي جعلها الله في كتابه، وجعلها نبيه محمد صلى الله عليه و سلم في سنته ألا وهو شهود القمر وشهود الشمس والف
দলিলের দাবি হচ্ছে, রোযা রাখা আর রোযা শেষ করার ব্যাপারে প্রত্যেক যায়গার জন্য স্বতন্ত্র বিধান হবে। (ফতোয়ায়ে আরকানুল ইসলাম- ৪৫১)

সৌদি আরবের নির্ভযোগ্য উলামায়ে কেরাম ও বরেণ্য মুফতিগণের মধ্য থেকে কয়েক জনের ফতওয়া এখানে উল্লেখ করা হলো। আরো অনেকেই ঠিক একই মত পোষন করেছেন। সকলের মত উল্লেখ করতে গেলে আলোচনা অতি দীর্ঘ হয়ে যাবে।

একই দিনে সারা বিশ্বে ঈদের যে দাবি অবিবেচক লোকেরা তুলছেন, সৌদি আরবের’ মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী মক্কা মুর্কারামার বৈঠকে সেটাকে শরীয়ত পরিপন্থী ও সম্পূর্ন অযৌক্তিক বলা হয়েছে। (কারারাতু মাজমায়ীল ফিকহিল ইসলামি, মক্কা মুর্কারামা-৭৯-৮৭)

فما يدعيه القائلون من وجود الاشحاد في يومي الصوم و الافطار مخالف لما جاء شرعا و عقلا. সৌদি আরবের পাশাপাশি, মিশর, কুয়েতসহ মুসলিম বিশ্বের আরো অনেক দেশের মুফতীগণও একইমত পোষণ করেন।

তাহলে বাংলাদেশে যারা একই দিনে সারা বিশ্বে ঈদের দাবি তুলছেন তারা বর্তমান বিশ্বের কোন দেশের উলামাদের অনুসরন করছেন? তারা কি প্রমান করতে পারবেন বর্তমানে কোন দেশের যোগ্য ও বিজ্ঞ মুফতীরা এমত পোষণ করেন? বাস্তব বিচারে প্রমাণিত হয় তারা তাদের মনগড়া এদাবি উপস্থাপন করছেন।

বর্তমানে যেমন পৃথিবীর কোনো দেশের যোগ্য ও বরেণ্য মুফতিগণ এমত পোষণ করেন না। তাছাড়া অতীতেও মাযহাবের ইমাম ও ফকীহগণও একই সাথে সারা বিশ্বে ঈদের মত দেননি। হযরত মুহাম্মদ সা. এর যমানা থেকে অদ্যবধি সাড়ে চৌদ্দ শত বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে কখনোই গোটা বিশ্বে একই সাথে ঈদ পালিত হয়নি এবং কখনো ফুকাহায়ে কেরাম ও মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানরা এই দাবি তুলেননি।

তাহলে এখন যারা একই দিনে সারা বিশ্বে ঈদের দাবি তুলছেন তারা কি এমন একটি দাবিই তুলছেন যা পূর্বে কখনো ছিলনা। যদি তাই হয় তাহলে তা নিঃসন্দেহে বিদআত। আর বিদআত মানেই ভ্রষ্টতা। আর ভ্রষ্টতা মানেই জাহান্নাম।

তাহলে একই দিনে সারা বিশ্বে ঈদের দাবিদাররা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের কথা বলে কি প্রকারান্তরে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন ? হযরত নবী করীম সা. থেকে মাযহাবের ইমামদের যমানা পর্যন্ত কেউই একই দিনে সারা বিশ্বে ঈদের কথা বলেননি।

নিম্নোক্ত হাদিসটি এর সুস্পষ্ট প্রমাণ-
حدثنا محمد بن أبي حرملة قال: أخبرني كريب، أن أم الفضل بنت الحارث، بعثته إلى معاوية بالشام قال: فقدمت الشام، فقضيت حاجتها، واستهل علي هلال رمضان وأنا بالشام، فرأينا الهلال ليلة الجمعة، ثم قدمت المدينة في آخر الشهر، فسألني ابن عباس، ثم ذكر الهلال، فقال: متى رأيتم الهلال، فقلت رأيناه ليلة الجمعة، فقال: أأنت رأيته ليلة الجمعة؟ فقلت: رآه الناس، وصاموا، وصام معاوية، قال: لكن رأيناه ليلة السبت، فلا نزال نصوم حتى نكمل ثلاثين يوما، أو نراه، فقلت: ألا تكتفي برؤية معاوية وصيامه، قال: لا، هكذا ্রأمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلمগ্ধ: ্রحديث ابن عباس حديث حسن صحيح غريب، والعمل على هذا الحديث عند أهل العلم أن لكل أهل بلد رؤيتهم

কুরাইব রা. হতে বনির্ত যে উম্মুল ফজল রা, তাকে হযরত মুয়াবীয়া রা. এর নিকট শামে পাঠিয়েছিলেন। কুরাইব রা. বলেন আমি সিরিয়ায় গিয়ে উম্মুল ফজল রা. এর কাজ সমাধান করলাম।

সিরিয়ায় থাকতেই রমযানের চাঁদ দেখা গেলো। জুমার রাতে আমরা চাঁদ দেখলাম আর রমযানের শেষ দিকে আমি মদিনায় এলাম। হযরত ইবনে আব্বাস রা. আমাকে বললেন, তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম জুমার রাতে আমরা চাঁদ দেখেছি। তিনি বললেন তুমি নিজে জুমার রাতে চাঁদ দেখেছ ?

আমি বললাম লোকেরা দেখেছে এবং তারা নিজেরাও সিয়াম পালন শুরু করেছেন। হযরত মুয়বিয়া রা.ও রোয়া রেখেছেন। তিনি বললেন কিন্তু আমরা তো শনিবার রাতে চাঁদ দেখেছি। তাই আমরা রোযা রাখতেই থাকব এিশদিন পূর্ণহওয়া পর্যন্ত অথবা এর পূর্বেই যদি আমরা চাঁদ দেখতে পাই। আমি বললাম আপনি কি হযরত মুয়াবিয়া রা. এর চাঁদ দেখা ও রোযা রাখা কে যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন হযরত রাসূল সা. আমাদের কে এভাবেই নির্দেশ দিয়েছেন। ( তিরমিযী-১/১৪৮,আবু দাউদ-১/৩১৯,মুসলিম-১/৩৪৮,নাসাঈ-১/২৩০)

এই হাদিসে দেখা যাচ্ছে হযরত ইবনে আব্বাস রা. যেমন সিরিয়ার চাঁদ দেখাকে নিজের জন্য দলিল মনে করছেন না তদ্রুপ হযরত মুয়াবিয়া রা. আমীরুল মুমীনীন হওয়া সত্বেও তাদের চাঁদ দেখাকে তৎকালীন গোটা মুসলিম জাহানের প্রমান সাব্যস্ত করছেন না। এর দ্বারা সুস্পস্ট প্রমান হবে যে, একদেশের চাঁদ দেখা আরেক দেশের জন্য প্রমান নয়। হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলছেন রাসূল সা. আমাদেরকে এটাই আদেশ দিয়েছেন।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: ‏ صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غُمِّيَ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعَدَدَ ‏ ‏হযরত আবু হুরাইরা রা. এর প্রসিদ্ধ হাদিস : তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখো এবং চাঁদ দেখে রোযা রাখা শেষ কর। যদি চাঁদ আড়াল হয়ে যায় তাহলে (রমযান মাস) ত্রিশ দিন পূর্ন করবে। (বুখারী.১/২৫৬-মুসলিম...১/৩৪৭)

বায়হাকীর একটি বর্ননায় রয়েছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন’’ এসকল লোকদের ব্যাপারে আমি আশ্চর্য হই! যারা রমযানের আগেই রোযা রাখে। অথচ রাসূল সা. বলেছেন যে তোমরা যখন রমযানের চাঁদ দেখবে তখন রোযা রাখবে। আবার যখন শাওয়ালের চাঁদ দেখবে তখন রোযা রাখা শেষ করবে। যদি চাঁদ আড়াল হয়ে যায় তাহলে (রমযান মাস) ত্রিশ দিন পূর্ন করবে। (বায়হাকী- ৪/২০৯)

হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন’’ রমযানের পূর্বে তোমরা সিয়াম পালন করবেনা । তোমরা যখন রমযানের চাঁদ দেখবে তখন রোযা রাখবে আবার যখন চাঁদ দেখবে তখন রোযা রাখা শেষ করবে। যদি আকাশ ঘোচ্ছন্ন হয়ায় চাঁদ দেখা নাযায় তাহলে (রমযান মাস) ত্রিশ দিন পূর্ন করবে।(তিরমিযী-১/১৪৮)

এসকল হাদীস দ্বারা দুটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠে ১. এক দেশের চাঁদ দেখা অন্য দেশের জন্য দলীল নয়।

২. হদীসটির অর্থ ইবনে আব্বাস রা. এর ভাষায় প্রত্যেক দেশের মানুষ নিজেরাই রমযানের চাঁদ দেখে রোযা রাখবে। আবার নিজেরাই শাওয়ালের চাঁদ দেখে ঈদ করবে। আর এই হাদিসটি অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম থেকে বর্ণিত আছে। এসব হাদিস থেকে আরেকটি বিষয়ও প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক দেশের মানুষের জন্য তাদের নিজেদের চাঁদ দেখাই কার্যকর। একদেশের চাঁদ অন্য দেশের জন্য ধর্তব্য নয়। এবিষয়টিও সাহবায়ে কেরামের যুগ থেকেই চলে আসছে।

ইমাম তিরমিযী বলেন যে, আহলে ইলমগণ এই হাদিস অনুযায়ী আমল করেছেন যে, প্রত্যেক শহরবাসীর জন্য তাদের চাঁদ দেখাই (১/১৪৮) পবিত্র কুরআনে রয়েছে فمن شهد منكم الشهر فليصمه তোমাদের মধ্যে যে এইমাস পাবে সে যেন এ মাসের রোযা রাখে- ( বাকারা-১৮৫) এই আয়াতের ব্যখ্যায় তাফসিরে ইবনে কাসীরে উল্লেখ রয়েছে-
وقوله : ( فمن شهد منكم الشهر فليصمه ) هذا إيجاب حتم على من شهد استهلال الشهر أي كان مقيما في البلد حين دخل شهر رمضان ، وهو صحيح في بدنه أن يصوم لا محالة

ঐ ব্যক্তির উপর রমযানের রোযা রাখা আবশ্যক যে রমান মাস পাবে। অর্থাৎ যেই শহরে রমযান মাসের সূচনা হয়েছে ঐ ব্যক্তি যদি ঐ শহরে অবস্থান করে এবং সে শারিরীকভাবে সুস্থ থাকে তাহলে সে রোযা রাখবে।

এ আয়াতে সুস্পষ্ট বলা হচ্ছে যারা রমযান মাস পাবে তারাই রোযা রাখবে। আর যে দেশে চাঁদ উদিত হবে তারাই তো রমযান মাস পাবে। আর যে দেশে চাঁদ উদিতই হয়নি সে দেশের মানুষ রমযান মাস পাবে কি করে?

যুগে যুগে মাযহাবের ইমামগণও এবিষয়ে একমত পোষন করেছেন যে, একই সাথে সারা বিশ্বে ঈদ উদযাপন করা ইসলামের বিষয় নয়। আর বাস্তবে এটা সম্ভবও নয়।

ইবনে আব্দুল বার র. এবিষয়ে ইজমা নকল করতে গিয়ে বলেছেন যে, অনেক দূরের শহর - নগরে যেমন স্পেন থেকে খুরাসান এক যায়গার চাঁদ দেখা অন্য যায়গায় ধর্তব্য হবেনা। বরং প্রত্যেকদেশের লোকদের জন্য তাদের চাদঁ দেখাই ধর্তব্য হবে।

লেখক: মুদাররিস, শেখ জনূরুদ্দীন র. দারুল কুরআন মাদরাসা, মালিবাগ, চৌধুরী পাড়া-ঢাকা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ