সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ’ ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইসলামী আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’ তাড়াইলে মাদক-জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশ নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, দ্রুতই রোডম্যাপ : ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শনিবার বাংলাদেশ সফরে এলেন দেওবন্দের উস্তাদ মুফতি ফখরুল ইসলাম এলাহাবাদী আগামীকাল শরীফগঞ্জে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী

নামাজে 'খুশু' বা একাগ্রতা বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন মুফতি তাকি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নামাজে একাগ্রতা দুটি স্তর রয়েছে। যথা: ১– সর্বোচ্চ স্তর। এটা ইহসানের হালত। এই অবস্থার বর্ণনা হাদিসে এভাবে এসেছে: “তুমি এমন ভাবে ইবাদত করো, যে আল্লাহকে তোমার সামনে দেখছো, আর যদি না দেখে থাকো, (অর্থাৎ, তোমার যদি ঐরকম অবস্থা সৃষ্টি না হয়, তাহলে এটা অনুভব করো যে,) আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।

এই দুই অবস্থার কোন এক অবস্থা যদি ইবাদতে তৈরি হয়, তাহলে সেটা হবে ইবাদতের সর্বোচ্চ স্তর। ১– সর্বনিম্ন স্তর। এটা ঐ অবস্থা, যখন নামাজি তার নামাজে পাঠ করা প্রতিটি সূরা ও তাসবীহের প্রতি মনোযোগ রেখে নামাজ পড়ে। কখনো মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হলে আবার মনোযোগ নিবদ্ধ করে।

এটা ইবাদতের সর্বনিম্ন স্তর। স্বভাবতই প্রথমেই কেউ লাফ দিয়ে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাতে পারে না। ধাপে ধাপে সামনে এগোতে হয়। এজন্য শুরু করতে হবে প্রথম স্তর থেকে। এর সাথে নামাজের পর দুটি কাজ করতে করতে হবে নিয়মিত। তাহলে খুব সহজেই পৌঁছা যাবে সর্বোচ্চ স্তর ইহসানের হালতে।

দুটি কাজ হলো: ১– নামাজের পর শোকর করতে হবে। এই চিন্তা-বোধ থেকে যে, আমার তো নামাজে আসার ক্ষমতা ছিল না, কিংবা মনও চাচ্ছিলো না কষ্ট করে এসে নামাজে শরিক হতে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তাওফিক দিয়েছেন। তাই, আলহামদুলিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর।

আর, আল্লাহ তো বলেছেন: “যদি তোমরা শোকর করো, আমি বাড়িয়ে দেবো।” তো নামাজ আদায়ের পর যদি আল্লাহর শোকর করা হয়, তাহলে আল্লাহ নামাজ আদায়ের তাওফিক আরো বাড়িয়ে দেবেন। এটা আল্লাহর ওয়াদা।

২– আল্লাহর শান মোতাবেক যথাযথভাবে (যেটা কখনো পরিপূর্ণ করা সম্ভব নয়।) ইবাদত করতে না পারার কারণে, আল্লাহর কাছে ইসতেগফার করা।

নামাজের পর। নামাজের প্রতিটি রুকন এর প্রতি খেয়াল করে চিন্তা করা, আমার কিয়াম, আমার রুকু, আমার তেলাওয়াত–কি যথাযথ আদায় হলো? নিজে নিজের নামাজের হিসাব নেওয়া।

এরপর খাঁটি দিলে, নিজের দূর্বলতা ও অসম্পূর্ণতা প্রকাশ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এজন্য রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের পর তিন বার ইসতেগফার করতেন। আর আল্লাহ তো ওয়াদা করেছেন, যতো বড় গোনাহ কিংবা ত্রুটি হোক না কেন, (যদি খাঁটি দিলে ইসতেগফার করা হয়) তাহলে তাহলে আল্লাহ সব ক্ষমা করে দেন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে আমলের তাওফিক দিন। নামাজে খুশু খুজু অর্জনের তাওফিক দিন। আমীন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ