মুফতি মোজ্জাম্মেল হক রায়পুরী।।
রমাজান। আরবি মাসসমূহের মধ্যে সবচে’ মর্যাদাপূর্ণ ও বরকতময় মাস। এ মাসের মর্যাদা ও ফজিলত অপরিসীম। মাহে রমজানের আগমনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক খুশি হতেন, আনন্দিত হতেন। দু'মাস আগ থেকেই এ মাসের খায়ের ও বরকত হাসিলের জন্য দোয়া করতেন।
এ মাসে বিশেষ দুটি আমল: ১. পূর্ণ মাস রোজা রাখা। ২.তারাবির নামায পড়া।
ইবনে মাজাহ শরীফে এসেছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজান এমন একটি মাস, যে মাসে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর রোজা ফরজ করেছেন এবং আমি আল্লাহর রাসূল তোমাদের জন্য তারাবি পড়া সুন্নাত করেছি। যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ একিনের সাথে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় রোজা রাখে এবং তারাবির নামায আদায় করে, সে ঐদিনের মতো পাপমুক্ত হয়ে যাবে, যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।
রমজান মাসে রোজা ফরজ করার রহস্য বা হেকমত কী?
এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন: রমজান এমন একটি মাস, যে মাসে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কারিম নাযিল করেছেন। সূরা বাকারা: ১৮৫
কুরআনে কারিম আল্লাহ তায়ালার কালাম ও সিফাত, আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সর্বশেষ গ্রন্থ। যা কিয়ামত পর্যন্ত সুদৃঢ়ভাবে বহাল থাকবে। কুরআন জগৎবাসীর জন্য পথপ্রদর্শক, ঈমান এবং কুফুরের মাঝে পার্থক্যকারী। এতো মর্যাদাপূর্ণ ও মাহাত্ম্যপূর্ণ মহাগ্রন্থ যেহেতু এই রমজান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে, তাই এ মাসের মর্যাদা ও গুরুত্ব বেড়ে গেছে। এই মাসের মর্যাদা ও গুরুত্ব রক্ষার জন্য আল্লাহ তায়ালা বিধান দিয়েছেন: তোমাদের মাঝে যে মাহে রমজান পাবে, সে যেন এই মাসে রোজা রাখে।
এইজন্য এ মাসে বিশেষ দু'টি আমল রয়েছে। ১. রোজা রাখা। ২. তারাবিহর নামাজ পড়া।
রোজা হচ্ছে এই মর্যাদাপূর্ণ মাসের হক আদায়ের জন্য। আর তারাবিহ হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের হক আদায়ের জন্য। যে মহাগ্রন্থের কারণে এই মাসটি সম্মানিত হয়েছে।
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, মদিনাতুল উলুম বসুন্ধরা, ঢাকা।
-এএ