সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ’ ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইসলামী আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’ তাড়াইলে মাদক-জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশ নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, দ্রুতই রোডম্যাপ : ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শনিবার বাংলাদেশ সফরে এলেন দেওবন্দের উস্তাদ মুফতি ফখরুল ইসলাম এলাহাবাদী আগামীকাল শরীফগঞ্জে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী

সাহরির সময় মাইকে ডাকাডাকি, যে বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| শরীফ মুহাম্মদ ||

সাহরির সময়ে মাইকের ডাকাডাকি কি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া দরকার নাকি চালু রাখা যেতে পারে?

সময়, পরিস্থিতি, উপযোগিতা ও অভ্যাসের বড় একটি পরিবর্তন হয়েছে; গত ১০-১৫ বছরে। কিন্তু মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ঘুম-জাগরণ, সচেতনতা-উদাসীনতার স্বাভাবিক প্রবণতাগুলো পুরোপুরি বদলে যায়নি। এখনো মানুষ বিস্মৃতি কিংবা বে-খেয়ালিতে ভালো কাজ ছেড়ে দেয়। দেখাদেখি অথবা আওয়াজ শুনে নেক কাজে জড়িয়ে যায়।

এসব দেখে-শুনে মনে হয়, সাহরির সময়ে সীমিত পরিসরে মাইকের আহ্বান/সতর্কতার বিষয়টি চালু থাকতে পারে।

এক ঘন্টা আগে থেকে শেষ সময় পর্যন্ত খুব অল্প কথায়, অল্প সময়ে তিন/চারবার সাহরির সময়/ কতক্ষণ বাকি আছে/ শেষ সময় স্মরণ করিয়ে দিলে মানুষের উপকার হবে। এক মিনিট করে সর্বোচ্চ চারবার। শেষ রাতে মসজিদের মাইকে লম্বা-চওড়া কথাবার্তা, গজল-নাশিদ দেওয়া উচিত হবে না। অবশ্য ঘনবসতিপূর্ণ শহর এবং গ্রাম এলাকার মধ্যে কিছুটা ফারাক করা যেতে পারে। গ্রামে সময়-সহযোগিতার দরকারটা বেশি পড়ে এবং মাইকের আওয়াজ সেখানে সাধারণত অসহনীয় ঠেকে না।

এখানে দুটি প্রসঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ।
এক. শেষরাতে মানুষকে কষ্ট না দেওয়া।
দুই. সাহরির সময়/শেষ সময় নিয়ে সচেতন করা এবং রোজা রাখার কথা মনে করিয়ে দেওয়া।

এ-দুটি বিষয়ের সমন্বয় করতে চাইলে একঘন্টা কিংবা ৪৫ মিনিটের চেয়ে বেশি আগে মাইকে আওয়াজ দেওয়া ঠিক হবে না। ঘনঘন বেশি বেশি কথা বলা ঠিক হবে না। অপরদিকে মনে রাখার মতো ব্যাপার হলো, এ-দেশের বহু সাধারণ মানুষ আসলে এতটা সচেতন ও প্রস্তুত রোজাদার হয়ে উঠেন নি। অনেকের বাসায় সাহরি-ইফতারের ক্যালেন্ডারটিও নেই। কারো কারো পরিস্থিতি এমন যে নেকির আওয়াজ ও পরিবেশে সে নেকির সঙ্গে থাকে, আর ছেড়ে রাখলে সে গাফেল হয়ে যায়। এজন্য তুলনামূলক অস্বস্তিমুক্ত পন্থায় সাহরির ডাকাডাকি চালু থাকতে পারে।

যারা প্রস্তুত দ্বীনদার-রোজাদার তারা তো মাশাআল্লাহ ভালো; কিন্তু সমাজে এমন বহু মুসলিম আছেন, নেকির পথে চলতে গেলে যাদের জন্য আওয়াজের দরকার হয়, আবহাওয়ার দরকার হয়, পরিবেশের দরকার হয়, দেখাদেখির দরকার হয়। ডাকাডাকিরও দরকার হয়। তাদের জন্য আওয়াজের উপায়টা খোলা থাকা দরকার।

আমাদের সমাজে কিন্তু আওয়াজ ও আবহ একটি বড় ঘটনা। এক আওয়াজ থেকে পিছিয়ে আসলে আরো আওয়াজ থেকে পিছিয়ে আসতে হবে। বিপরীতে 'অন্য আওয়াজগুলো' স্পেসটা দখল করতে পিছপা হবে না। কল্যাণের আওয়াজটি যেন নরম ও স্বস্তিকর হয়-শুধু সেদিকটিতে খেয়াল রাখা দরকার। হুজুগ আর আবেগে ভেসে যাওয়া ঠিক হবে না; জুলুম হয়ে যাবে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ