সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ’ ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইসলামী আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’ তাড়াইলে মাদক-জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশ নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, দ্রুতই রোডম্যাপ : ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শনিবার বাংলাদেশ সফরে এলেন দেওবন্দের উস্তাদ মুফতি ফখরুল ইসলাম এলাহাবাদী আগামীকাল শরীফগঞ্জে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী

সৌদির যে খেজুর কারখানার সব কর্মীই নারী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সৌদি আরবের একটি খেজুরের প্যাকেজিং কারখানার শুরু থেকে শেষ সবকিছুই পরিচালনা করেন নারীরা। কারখানাটিতে শতাধিক নারী কাজ করেন। তাদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাউন্টিং, মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্যাকেজিং থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পর্যন্ত সব ধরনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীই নারী।

ইবনে জাইদ নামের কারখানায় ডেট প্যাকেজ পরিবহনের জন্য একটি ফর্কলিফট চালান আকিলাহ আলি। তিনি বলেন, 'প্রথমে কিছু অসুবিধা ছিল- ভারী পরিবহন ট্রাক চালানো শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য বলে মনে করা হয়েছিল। তবে আমি খুশি যে আমি প্রমাণ করতে পেরেছি নারীরা নতুন ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে এবং সফল হতে পারে।'

ইবনে জাইদ কারখানা সৌদি আরবের আল-আহসায় অবস্থিত। এটি খেজুর উৎপাদন ও বিক্রি করে। স্থানীয় অনুমান অনুসারে, আল-আহসায় প্রায় ২০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে। এর থেকে প্রতি বছর ১ লাখ টন খেজুর উৎপাদন হয়।

কারখানাটি পূর্বে বিদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের দ্বারা পরিচালিত হতো। কিন্তু এর মালিক দেশটির শ্রমশক্তিতে নারীদের একীভূত করার নতুন দিকনির্দেশনা মেনে সৌদি নারীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।

কারখানাটি এখন পুরোপুরি নারীরাই পরিচালনা করে আসছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব নারীর উপস্থিতি বাড়াতে বেশ কিছু সংস্কার চালু করেছে। ২০১৭ সালে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ঘোষণা করেছিলেন যে, নারীরা গাড়ি চালাতে পারবে।

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ভিশন ২০৩০ সংস্কার পরিকল্পনাও চালু করেছেন। এর লক্ষ্য সৌদির অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা এবং নারীর শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

এরপর কয়েক ডজন মহিলাকে সরকারি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, অভিভাবকত্ব আইনটি নির্মূল করা হয়েছে এবং নারীদের একা থাকার জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই।

সূত্র: আল আরাবিয়্যাহ

টিএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ