মুহাম্মদ বদরুজ্জামান: আমি প্রথমবার সুলতান ডাইনের গুলশান ব্রাঞ্চে গিয়েছিলাম ১৯সালের রমজানে। এক ভাইয়ের নিমন্ত্রণে সেখানে সেহরি খেয়েছিলাম। সে থেকে কখনো শান্তিনগর কখনো পুরান ঢাকা, এ দুই ব্রাঞ্চে প্রায় সময় আসা যাওয়া হয়। গত রমজানে আমাদের ঘরোয়া ইফতার মাহফিল সম্পন্ন করেছি সুলতান ডাইনের মেনুতে । শান্তিনগর ব্রাঞ্চের ম্যানেজার খুব আন্তরিকতার সাথে আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন।
আমরা যারা সফর করি এবং বিভিন্ন জায়গার খাবার খেয়ে থাকি, তাদের অনেকের কাছে মুখরোচক খাবার পছন্দ হয়ে থাকে। আমি নিজেও এমনটা পছন্দ করি। এ কারণে বাসায় সবসময় চাপে থাকি।
যাজ্ঞে, মাঝেমধ্যে আয়েশ করে খাওয়া খাবারের মধ্যে আমার কাছে কাচ্চি শীর্ষে। সে সুবাদে সুলতান ডাইনের কাচ্চিও খাওয়া হয়। তাদের কাচ্চি খারাপ লাগেনি কখনো। তবে তাদের খাবার বেশ এক্সপেন্সিভ এবং মশলা সমৃদ্ধ। এ কারণেই তাদের খাবার রেগুলার খাওয়ার মত না।
গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে কাচ্চি জনপ্রিয় হয়ে উঠায় একইরকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হয়েছে অনেকগুলো। কাস্টমার বাড়াতে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আছে। সম্প্রতি এ ধরণের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠে, এতে তাদের ভ্যালু তলানিতে ঠেকেছে। ব্যাতিক্রম ছিল সুলতান ডাইন। এ প্রতিষ্ঠান ভালোই ব্যবসা করছিল। অবশেষে তাদের নামেও একই অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে যতদূর বুঝলাম অনেকটা ষড়যন্ত্রের মত।
একটা প্রতিষ্ঠান কত কষ্ট আর সাধনায় ভ্যালু ক্রিয়েট করে। যেখানে তাদের চাহিদা ব্যাপক, ব্যবসা ভালো হচ্ছে। এমন জায়গায় কোন প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করে তাদের অধঃপতন ডেকে আনতে পারেনা। যারা চিন্তাভাবনা ছাড়াই সুলতান ডাইনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রচার করছেন, তারা একবার চিন্তা করবেন আশাকরি।
কেএল/