সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ’ ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইসলামী আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’ তাড়াইলে মাদক-জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশ নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, দ্রুতই রোডম্যাপ : ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শনিবার বাংলাদেশ সফরে এলেন দেওবন্দের উস্তাদ মুফতি ফখরুল ইসলাম এলাহাবাদী আগামীকাল শরীফগঞ্জে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী

রাসূল সা. হাসিমুখে ঘরে ঢুকতেন: মুফতি মুহাম্মদ রফি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:।। রাসূল সা.অভ্যাস ছিল, যখনই ঘরে ঢুকতেন তাঁর চেহারায় হাসির ঝিলিক থাকত। একবার রাসূল সা. সফর থেকে ফিরলেন।

ঘরে ঢোকার সময় অভ্যাসবশত তারঁ চেহারায় হাসির ছাপ নেই। একটা বিরক্তির ছাপ লক্ষ্য করা গেল। হজরত আয়েশা রা. চিন্তিত হয়ে গেলেন। তিনি আরজ করলেন, ইয়া রাসূলসাল্লাহ! আমি আল্লাহর কাছে তওবা করছি। আমার কী ভুল হয়েছে একটু বলুন। তখন রাসূল সা. বলেন, তোমার পর্দার কাপড়ে প্রাণীর ছবি। সঙ্গে সঙ্গে আয়েশা রা. পর্দা চিড়ে এমনভাবে তা লাগালেন যাতে ছবি আছে তা বোঝাঁ না যায়।

দেখুন, হজরত আয়েশা রা. এটা দেখে অভ্যস্থ ছিলেন না যে রাসূল সা. ঘরে ঢুকবেন আর তাঁর চেহারায় হাসির ঝিলিক থাকবে না। সুতরাং তিনি তা সহ্য করতে পারলেন না এবং সঙ্গে সঙ্গে তাওবা করে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন।

তাকওয়া ছাড়া এসব অসম্ভব এক রাতের ঘটনা। রাসূল সা. হজরত আয়েশা রা.এর ঘরে শুয়েছিলেন। আয়েশা রা. বলেন, রাতের কিছু অংশ পার হওয়ার পর রাসূল সা.ভাবলেন আমি হয়ত ঘুমিয়ে পড়েছি। তিনি আস্তে আস্তে উঠলেন এবং কোনো শব্দ না করে দরজায় কাছে গেলেন।

তিনি আস্তে আস্তে দরজা খুলে বের হলেন এবং আস্তে আস্তে দরজা বন্ধ করলেন। এরপর লম্বা ঘটনা। এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো রাসূল সা. অত্যন্ত সাবধানে ঘুম থেকে উঠলেন, দরজা খুলে বের হয়ে আবার খুব সতর্কতার সঙ্গে দরজা লাগিয়ে দিলেন। এর কারণ হলো পাশে ঘুমিয়ে থাকা হজরত আয়েশা রা. এর কোনো কষ্ট যেন না হয়। তাঁর ঘুম যেন ভেঙ্গে না যায়। এসব বিষয়ে প্রতি লক্ষ্য রাখা আল্লাহর ভয় এবং পরকালের হিসাবের প্রতি ভয় ছাড়া কখনও সম্ভব নয়।

দ্বিতীয় বিষয় হলো, নারীরা সৃষ্টিগতভাবেই একটু দুর্বল প্রকৃতির। আল্লাহর ভয় না থাকলে তাদেরকে পুরুষেরা ধাবিয়ে রাখবে। এটাই আজকাল হচ্ছে। প্রায়ই শোনা যায় নারীদেরকে উত্তরাধিকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাবা মারা যাওয়ার পর গোটা সম্পদ ভাইয়েরা ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়ে যান। বোনদেরকে বঞ্চিত করা হয়। সূত্র: খুতুবাতে ফকীহুল ইসলাম

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ