সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ’ ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইসলামী আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’ তাড়াইলে মাদক-জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশ নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, দ্রুতই রোডম্যাপ : ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শনিবার বাংলাদেশ সফরে এলেন দেওবন্দের উস্তাদ মুফতি ফখরুল ইসলাম এলাহাবাদী আগামীকাল শরীফগঞ্জে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী

নফসকে ধোঁকা দিয়েই আমাদের কাজ উদ্ধার করতে হবে: মুফতি তাকি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহিনুর মিয়া।।

আমাদের হযরত ডা. আব্দুল হাই সাহেব রহ. বলতেন যে, নফসকে একটু ধোঁকা দিয়ে তার থেকে কাজ উদ্ধার করে নাও। তিনি ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমার প্রতিদিন তাহাজ্জুদ পড়ার অভ্যাস ছিল। বয়সের শেষের দিকে, দুর্বলতার জামানায় একদিন তাহাজ্জুদের সময় যখন চােখ মেলেছি, তখন তবীয়তের মধ্যে কিছুটা আলস্যভাব দেখা দিল। অন্তরে খেয়াল চাপলো যে, আজ তো শরীরটা কিছুটা অসুস্থ, আলসেমিও লাগে, বয়সও তো আর কম হযনি। আর তাহাজ্জুদ নামাজ তো ফরজ-ওয়াজিব নয়, তাহলে শুয়ে থাকো। আর আজ যদি তাহাজ্জুদ না-ই-বা পড়লে তো কী হয়েছে?

তিনি বলেন, চিন্তা করলাম, কথা তো ঠিক যে, তাহাজ্জুদ কোনো ফরজ নয়- ‍ওয়াজিবও নয়, শরীরটাও সুস্থ নয়, তবে কথা হচ্ছে এ সময়টা তো আল্লাহর দরবারে দোয়া কবুল হওয়ার সময়।

হাদিসে এসেছে, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ চলে যায়, তখন দুনিয়াবাসির উপর আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা দিতে থাকেন, আছ কী কোনো মাগফিরাতের প্রত্যাশী, তাকে মাগফিরাত দেওয়া হবে। তো এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত অযথা নষ্ট করা ঠিক নয়।

আমি নফসকে ভুলিয়ে দিলাম এবং বললাম যে, ঠিক আছে, এক কাজ করো উঠে বসে যাও।বসে গেলাম এবং দোআ করতে শুরু করলাম, দো‘আ করাকালীন নফসকে বললাম যে, উঠে যখন বসেই গিয়েছি, ‍ঘুম তো চলে গেছে। এখন বাতরুম পর্যন্ত চলে যাও। তারপর ইস্তেঞ্জা ইত্যাদি সেরে এসে প্রশান্তির সাথে শুয়ে পড়ো।

এভাবে যখন ইস্তেঞ্জা শেষ করলাম, তখন ভাবলাম ‍ওজুটা করে নাও না! কারণ, ওজুর সাথে দো‘আ করলে কবুল হওয়ার সম্ভবনা বেশি। এভাবে ‍ওজুও করে নিলাম এবং বিছানায় এসে বসে দু‘আ শুরু করে দিলাম। এরপর নফসকে আবার বুঝালাম, বিছানায় বসে দু‘আা হচ্ছে বটে, তবে দু‘আ করার স্থান তো তোমর এখানে না।

যেখানে গিয়ে দু‘আ করার সেখানে ‍গিয়ে দু‘আ করো। অতঃপর নফসকে জায়নামাজে ‍নিয়ে গেলাম এবং দ্রুত দু রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করে ফেললাম।

তারপর ডা. আব্দুল হাই সাহেব বলেন, কখনো কখনো নফসকে একটু ধোঁকা দিয়ে ভুলিয়ে নিতে হয়। যেমনিভাবে নফস তোমাদের নেক কাজ নিয়ে টাল-বাহানা করে, তেমনি তোমরাও তার সাথে টালবাহানা কর এবং তাকে টানাটানি করে, জবরদস্তি করে কাজ উদ্ধার করে নাও। এই পদ্ধতিতে নেক কাজ করার তাওফিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। সূত্র: ইসলাহী খুতুবাহ

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ