ওমর ফারুক মজুমদার: এবারের অমর একুশে বইমেলায় আসছে মিযানুর রহমান জামীলের ছড়াগ্রন্থ ‘শিউলি ফোটার দিনে’। বইটি থাকবে বইমেলার ২৩৩নং স্টলে। বইটি প্রকাশ করছে জালাল খান ইউসুফীর কাব্যকথা প্রকাশনী।1 প্রচ্ছদ করেছে ডিজাইন ক্যানভাস। ফ্ল্যাপ লিখেছেন জুনাইদ বিন সিরাজ।
ছড়াগ্রন্থটি সম্পর্কে প্রকাশক বলেন, পাঁচ ফর্মার বইটিতে লেখক বৈচিত্র্যময় জীবন জগতের নানা দিক তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ছড়ার লয়-তালে সফলতা ও ব্যর্থতার গল্পকে তুলে ধরেছেন মজাদার শব্দচয়নে। পাতায় পাতায় ছড়িয়েছেন ইসলাম, দেশ-জাতি ও মানব কল্যাণের খুশবু। কখনও কান্না কখনও হাসি, কখনও ভালোবাসার ফুল হয়ে বৃত্তে বৃত্তে নিজেকে তুলে ধরেছেন।
বইটির নামকরণের বিষয়ে লেখক জানান, সাউথ ইন্ডিয়ার কর্নাটক রাজ্য সফরের সময় রত্নগিরি প্লাটফরমে যখন মঙ্গলা-লক্ষ্মদীপ এক্সপ্রেস স্থির হয়, তখন এক শিউলি গাছে চোখ পড়ে লেখকের। ছোট্ট ডালপালায় ফুটে থাকা চমৎকার শিউলিগুলো লেখকের ভেতর প্রচণ্ড নাড়া দেয়— ভারতবর্ষে এমন লাখো-কোটি মানুষ আছেন যাদের হৃদয়ে এখনও ঈমানের ফুল ফোটেনি। সেই দৃশ্যের প্রতি একপ্রকার মুগ্ধ হয়ে লেখক তার বইয়ের নাম দেন- শিউলি ফোটার দিনে। ভেতরে তার কিছুটা প্রভাবও আছে।
ঝকঝকে প্রচ্ছদে মোড়ানো ৮০ গ্রাম কাগজে ছাপা মজবুত বাঁধাই করা ‘শিউলি ফোটার দিনে’ মিযানুর রহমান জামীলের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। এর আগে ২০১১ সালে 'এ্যাকশন' নামে লেখকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয়। তার লিখিত বইয়ের সংখ্যা মোট ২৬টি।
বইটিতে স্থান পেয়েছে পঞ্চাশের বেশি ছড়া-কবিতা। এর মধ্যে জীবন গঠন, বরণ-মরণ, দেশ-ভাষা, গ্রাম-গঞ্জ, বাবা-মা, বন্ধু-সাথী, ঈমান-আমল, স্মৃতি-প্রীতি, আবেগ-অনুভূতি ও বিরহ-বেদনাসহ জাতি-সভ্যতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
লেখক বর্তমানে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদরাসা দারুর রাশাদের শিক্ষক এবং মাসিক আর রাশাদের সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।
বইয়ের ছড়ার বিষয়ে মিযানুর রহমান জামীল বলেন, 'এগুলো আত্মার সাথে মিশে যাওয়া হৃৎকম্পন বা নিঃশ্বাসের শব্দমালা। আমি যতটা নিজের কাছে আপন, ছড়া কবিতার সাথেও ততটা বিশ্বাস-বোধ জড়িয়ে রাখি। যতটা নিজেকে চিনি ও জানি, ছড়া কবিতাকেও ততটা জানি এবং জানার চেষ্টা করি। এ বিশ্বাস-বোধ আর চেতনার সিঁড়ি বেয়ে প্রতিটি ছন্দের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জীবনের নানান রং, রূপ ও দিক-দর্শন তুলে ধরায় চেষ্টা করেছি।'
লেখক বলেন, 'প্রসব বেদনায় কখনও কখনও একদিন বা এক বসাতে কবিতার জন্ম হয় না; কিছু ক্ষেত্রে দিন-রাত একাকার করে আত্মা ও দেমাগের পৃথিবী থেকে কবিতার আগমন ঘটে। আমার বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আমার প্রতিটি ছন্দে জড়িয়ে আছে উষ্ণ-শীতল প্রেক্ষাপট, ছড়িয়ে আছে পথচলার ঘটনাপ্রবাহ। কবিতার ভাঁজে ভাঁজে দিনের আলো আর রাতের আঁধারের মতো অনেক শুভ্র-কালোর বহুমাত্রিক সংমিশ্রণ ঘটেছে। হয়েছে অনেক উত্থান-পতনের পালাবদল। আশা করি এর দ্বারা পাঠক অর্থবোধক অনেক বার্তা পাবেন।'
কেএল/