আদিয়া হাসান: এবার বিশ্ব জয় করে দেশে ফিরছেন রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষার্থী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ তানভীর হোসাইন। আজ জুমার পর তিনি ও তার উস্তাদ শায়খ নেছার আহমেদ আন নাছিরী একটি বিশেষ ফ্লাইটে শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
জানা যায়, মিশরের কায়রোতে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ তানভীর হোসাইন। ৫৮টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে ৩০ পারা হিফজুল কোরআন (তাজভিদ) প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন তিনি।
গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) কায়রোর গ্র্যান্ড নাইল টাওয়ার হোটেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুখতার জুমা চার দিনব্যাপী এ কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক শায়খ নেছার আহমেদ আন নাছিরি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আমার প্রিয় ছাত্র অন্ধ হাফেজ তানভির এর আগেও সৌদি আরবের মক্কার কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলো, বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে আমিও সাথে থাকতে পেরে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ’।
জানা গেছে, আগামী রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেবেন মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদুল ফাত্তাহ সিসি।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঢাকা ছাড়েন হাফেজ তানভীরুল ইসলাম ও মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক শায়খ নেছার আহমেদ আন নাছিরি।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ সিসির পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুখতার জুমা চার দিনব্যাপী এই কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
অনারবভাষীদের জন্য তাজবিদসহ পূর্ণাঙ্গ কোরআন হিফজ প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে দুই লাখ মিসরীয় পাউন্ড পুরস্কার লাভ করেন ঘানার আবদুল সামাদ আদম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে দেড় লাখ মিসরীয় পাউন্ড লাভ করেন মালদ্বীপের ফাতেমা শায়া জাহির। তৃতীয় স্থান অর্জন করে এক লাখ মিসরীয় পাউন্ড লাভ করেন বাংলাদেশের তানভীর হোসাইন।
হাফেজ তানভীর হোসাইনের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া গ্রামে। এর আগে ২০১২ সালে তিনি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ২০১৬ সালে ইরানের ৩৩তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান লাভ করেন।
কেএল/