মুযযাম্মিল হক উমায়ের
৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা আজ আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে৷ লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উপস্থিতিতে তুরাগ প্রান্তর সরব ছিলো৷ এবারের ইজতেমা ও মুনাজাতে লোকজনের উপস্থিতির রেকর্ড পূর্বে কখনো দেখা যায়নি৷
এইযে আমাদের উপস্থিতি৷ কষ্টসহ্য৷ এসবের পিছনে আমাদের উদ্দেশ্য কী জানা থাকতে হবে৷ শুধুই যদি ভালো লাগা থেকে আসা এমন হয় তাহলে আমরা আমাদের উদ্দেশ্য অসফল৷ আমাদের কষ্টসহ্য ব্যর্থ৷
এখানে আসার পিছনে আমাদের উদ্দেশ্য থাকতে হবে নিজে দীনের উপর চলা এবং অন্যকে দীনের পথে চলতে সহযোগিতা করা৷ আমরা এখানে এসেছি মুরব্বিদের থেকে দীনের কাজ করার চালিকা শক্তি অর্জন করতে৷ দীনের কাজের পাওয়ারহাউজ থেকে সংযোগ স্থাপন করতে৷ বিদ্যুৎ যেমন পাওয়ারহাউজের সাথে সংযোগ থাকলে অন্যদেরকে উপকৃত করতে পারে, তেমন দীনের কাজেও বড়দের সাথে সংযোগ স্থাপন থাকলে আমাদের দ্বারা অন্যরা দীনের উপকার সাধন করতে পারবে৷
বছরে একবার জমায়েত হয়৷ কিন্তু আমাদের কাজ তো মেয়াদভিত্তিক নয়৷ দীনের দাওয়াতের কাজ কেয়ামত পর্যন্ত চালু থাকবে৷ আমাদের কাজ করে যেতে হবে৷ মানুষদেরকে দীনের পথে আসার ফিকির করতে হবে৷ সকল মুসলমানদের মধ্যে দীনের সহিহ বুঝ কীভাবে আসবে এর পিছনে মেহনত করতে হবে৷ হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরিকার উপর কীভাবে সকলকে নিয়ে আসা যায় এই চেষ্টা-প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে৷
ইজতেমা থেকে আমরা এই ফিকির নিয়েই বাড়ি ফিরবো৷ বাড়ি ফিরে যেনো আমরা মুরব্বিদের বাতলে দেওয়া দিকনির্দেশনাগুলো ভুলে না যাই৷ পরস্পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেনো দীনের দাওয়াতের মিশনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই৷ মসজিদওয়ারী কাজগুলোকে যেনো জীবিত রাখি৷ গাশতের পাবন্দি করি৷ ঘরে-বাইরে তালিম, মুজাকারা, তালকিন চালু রাখি৷ ময়দানে আসার পর দীনের প্রতি যে দরদ অন্তরে এসেছে বাড়ি গিয়েও সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করবো৷ অন্তরে যে পরিবর্তন এসেছে সেটিকে তাজা রাখার চেষ্টা করবো৷
এখানে আসা-বসা, কষ্টসহ্য করার দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্য এটিই৷ এই উদ্দেশ্যকে যদি আমরা নিজের মধ্যে ধারন করে রাখতে পারি, তাহলেই আমাদের এখানে আসা,বসা ও কষ্টসহ্য করা সার্থক৷ মুরব্বিদের চেষ্টা-প্রচেষ্টা সফল৷ আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফিক দান করুন৷ আমীন৷
-এটি