সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ’ ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইসলামী আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’ তাড়াইলে মাদক-জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশ নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, দ্রুতই রোডম্যাপ : ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শনিবার বাংলাদেশ সফরে এলেন দেওবন্দের উস্তাদ মুফতি ফখরুল ইসলাম এলাহাবাদী আগামীকাল শরীফগঞ্জে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী

নির্বাচনের ১০ মাস বাকি: এরদোগান যেতে চান আরও বহুদূর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ১০ মাস বাকি। আগামী নির্বাচন তুরস্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের নানা উত্তেজনার কারণে বাইডেন সরকার চাইবে এরদোগান সরকারের পতন বা পরিবর্তন।

মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের নিবন্ধে বলা হয়েছে— প্রেসিডেন্ট এরদোগান নির্বাচনি প্রচারে বিস্ময়কর এবং অবিশ্বাস্য ব্যাপার ঘটানোর জন্য বেশ পরিচিত।

এখন সময় এসেছে যথারীতি তার সেই তুরুপের তাস ব্যবহার করার। এরই অংশ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং সমাজের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন তুর্কিয়ে প্রেসিডেন্ট।

তুরস্কের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক রাগিপ সয়লুর লেখা আলোচিত ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে— দেশটির অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যেও শেষ যুদ্ধটা না চালিয়ে ক্ষমতা ছাড়তে চান না প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

চলতি বছরের জুলাই মাসে এরদোগান শ্রমিকদের বেতন ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছেন, যা দেশটির তিন কোটি সক্রিয় শ্রমিককে প্রভাবিত করেছে। তার সরকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন প্রায় ৪২ শতাংশ বাড়িয়েছে। এর সুবিধা পাচ্ছেন দেশটির প্রায় ৫০ লাখ সরকারি কর্মচারী। এ ছাড়া বেসরকারি খাতেও সন্তুষ্টির এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।

মিডল ইস্ট আইয়ে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে— চলতি বছরের আগস্টে তুরস্কের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ৮০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে তুর্কি লিরার অবমূল্যায়ন অব্যাহত রয়েছে। শুধু এ বছরেই লিরার মূল্য ২৭ শতাংশ অবনমন হয়েছে।

তবে ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক জরিপ বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের সমর্থন বাড়ছে। ভোটারদের মনোভাব পরিবর্তন ক্ষমতাসীন দলে এ বিশ্বাস জোগাতে সাহায্য করেছে যে, পরবর্তী নির্বাচনেও টিকে যাবেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

বিরোধীপক্ষের মধ্যে একতা ও কৌশলগত দুর্লতাকে কাজে লাগিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগান চাচ্ছেন আরও সৃজনশীল হতে। এর মাধ্যমে তিনি আরও বহুদূর যেতে চান। এমনকি যেসব পর্যবেক্ষক এরদোগানের ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন, তারাও এখন বিশ্বাস করেন যে তিনি এ যাত্রাও ক্ষমতায় টিকে যাবেন।

এর পর এরদোগান সরকার স্বাস্থ্য খাতের কর্মীদের বেতন সংস্কারের সূচনা করেছে। শিক্ষা ঋণের/শিক্ষার্থীদের ঋণের ওপর থেকে সুদ মওকুফ করেছে। প্রথমবারের মতো বাড়ির কেনা ব্যক্তিদের জন্য একটি সস্তা আবাসন প্রকল্প চালু করেছে। এ ছাড়া ব্যবসার জন্য স্বল্প পরিমাণ আমানতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব উদ্যোগ নির্দিষ্ট ভোটার গোষ্ঠীকে প্রলুব্ধ করবে।

এরদোগান জোর দিয়ে বলছেন, এই কম সুদের হারের কারণে তিনি একটা বড় সময় পাবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ঘাটতি পূরণ করতে তাকে রাশিয়া থেকে ৭০০-১০০০ ডলার পেতে হবে।

এ ছাড়া চলমান ঘাটতি পূরণ করতে সৌদি থেকে ২০০০ ডলার সহায়তা চেয়েছেন এরদোগান। তবে জ্বালানি মূল্যের অস্থির অবস্থার মধ্যে এটি যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। এসব কিছু ছাপিয়ে এরদোগান আবারও ক্ষমতায় গিয়ে তুরস্ককে নিয়ে যেতে চান বহুদূর।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ