|| মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী ||
ওমুককে থামানোর আগে তমুককে থামান! দেশে কি কোন মুরব্বী নেই যে, ঐ পাগলা বক্তাকে থামাবে? প্রশ্নটা দায়িত্বশীল ভাব নিয়ে, আফসোস করে অনেকেই করে থাকেন।
আমার কথা হলো, মুরব্বী থাকলেই কী আর না থাকলেই বা কী? পাগল কী সুস্থ্য মানুষের কথায় কান দেয়?
আসল কথা হলো, পাগলের নাচ থামানোর আগে পাগলকে নাচানেওয়ালাকে থামাতে হবে। বানরের ঢিল থামানোর আগে বানরকে ঢিল দেয়া বন্ধ করতে হবে। এটাই যৌক্তিক ও যথার্থ।
বক্তাকে গালি না দিয়ে আয়োজকদের শুদ্ধ হতে বলেন। আয়োজকদের নিয়ত পরিশুদ্ধ করতে বলেন। আয়োজকদের ভালো হতে বলেন। বরং প্রশ্নটা এভাবে করা যায়, পাগলা আয়োজকদের থামাবে কে?
অনেক মাহফিল আয়োজক শীতের মৌসুমে আগে যাত্রার আয়োজন করতো এখন মাহফিল আয়োজন করে। তাই মাহফিলেই যাত্রার ফ্লেভার চায়। এসব আয়োজকদের মাহফিলে প্রয়োজন চিত্তাকর্ষক বানোয়াট গল্প কাহিনী, কমেডি, গান, মাঝে মাঝে অদ্ভুত ড্যান্সও। যখন আপনি বিতর্কিত ব্যক্তির বক্তব্য ভাইরাল করেন, তখন সেটি তার পাবলিসিটি তথা পাগলামি করার সার্টিফিকেট প্রদান করে। পাগলকে নিয়ে নাচলে পাগলতো নাচ দেখাবেই।
তাই অমুককে থামানোর চিন্তা না করে ভাবেন কিভাবে তমুকদের থামানো যায়।
কেএল/