|| মুফতি আতাউল কারীম মাকসুদ ||
শায়খ আহমাদুল্লাহ হাফি.-এর সহজ একটা বিষয় নিয়ে কতকিছু হয়ে গেলো! আমরা এতটা নীচু হয়েছি যে, বরেণ্য একজন ইসলামিক স্কলার এর এমন সহজ একটা বিষয় মেনে নিতে পারি না, হজম করতে পারি না৷
আদাবে ইখতিলাফ এর স্বীকৃত নিয়ম হলো, যদি কেউ এমন ভুল করে, যার কারনে আরো মানুষ গোমরাহ হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কেবল তখনই তার সমালোচনা করা যাবে৷ কিন্তু ভাই, শায়খ আহমাদুল্লাহ হাফি.-এর ভুল তো এমন নয়৷
গানের সুরে কুরআনে কারিম পড়া কেউই পছন্দ করে না, সাপোর্ট করে না৷ এই ভদ্রলোক তো পুরাই গানের সুরে পড়েছেন, আরো অনেক কম গানের সুর দিয়ে পড়লেই উলামায়ে কেরাম প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করেন আলহামদুলিল্লাহ৷
শায়খ আহমাদুল্লাহও সেটাই করেছেন৷ হয়তো আরেকটু শক্তভাবে বললে ভালো হতো৷ কিন্তু যেটা বলেছেন তাও যথেষ্ট৷ এটার জন্য এভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়া, তাকে সমালোচনার মঞ্চে বসিয়ে দেয়া, তাকে তুলোধুনো করা কোনোভাবেই উচিত নয়৷
আমাদের সামনে কতো কাজ, কতো চ্যালেঞ্জ৷ হিজবুত তাওহিদ, কাদিয়ানিসহ বিভিন্ন কুফরি মতবাদ জাতিকে দিশেহারা করে তুলছে, আর আমরা আছি এজাতীয় গুরুত্বহীন বিষয় নিয়ে৷ আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে কবে?
আল্লাহ তাআলা আমাদের মাথার ঘিলু বাড়িয়ে দেন৷ মানুষের ভালো কাজের প্রশংসা করার তাওফিক দান করেন৷ সবর ও তাহাম্মুলের সাথে সমূহ বাতিল ফিরকার থাবা থেকে পুরো মুসলিম উম্মাহকে হেফাজতে রাখার তাওফিক দান করেন৷
কেএল/